বর্তমানে পরিচালনা কমিটির কার্যক্রম স্পষ্ট নয় বলে অভিযোগ তুলেছেন ইভ্যালির মার্চেন্ট ও গ্রাহকরা। তারা আরও বলছেন, মোহাম্মদ রাসেল ছাড়া মার্চেন্ট ও ক্রেতাদের সঠিক হিসাব নিরূপণ করা কারও পক্ষে সম্ভব না। আর সেকারণে ‘তারা নিজেদের (মার্চেন্ট ও ক্রেতা) জিম্মার’ শর্ত সাপেক্ষে হলেও মোহাম্মদ রাসেলকে মুক্তি দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে দেওয়ার দাবি জানান।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ হলে ‘ইভ্যালি মার্চেন্ট অ্যান্ড কনজ্যুমার কো-অর্ডিনেশন’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই কথা বলেন।
ইভ্যালি মার্চেন্ট অ্যান্ড কনজ্যুমার কোর্ডিনেশনের সহ-সমন্বয়ক সাকিব হাসান বলেন, ব্যবসার পরিধি বড় হলে কিছু অভিযোগ বা সমন্বয়হীনতা থাকতে পারে। এই সংকট মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হলে আমরা প্রায় ৫০ লাখ পরিবার ঋণগ্রস্থ হয়ে পথে বসার উপক্রম হবো।
কমিটির সমন্বয়ক মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে ইভ্যালিকে বন্ধ করার চক্রান্ত করছে একটি গোষ্ঠী। এই পর্যন্ত ইভ্যালির বিরুদ্ধে অর্থপাচারসহ অন্যান্য যত অভিযোগ রয়েছে তা এখন পর্যন্ত সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত নয়। তাই ইভ্যালির বর্তমান সমস্যা থেকে উত্তরণে মোহাম্মদ রাসলকে মুক্তি দিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ দিতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে ইভ্যালির আরও কয়েকজন মার্চেন্ট এবং ক্রেতা উপস্থিত ছিলেন।