সম্প্রতি পাইলট ও কেবিন ক্রুদের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার হুটহাট করেই ফ্লাইট বাতিল করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ফলে ভোগান্তি পড়ছেন এয়ারলাইন্সটির যাত্রীরা। পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে পাইলটদের জরুরি ভিত্তিতে করোনার টিকার বুস্টার ডোজ দিতে উদ্যোগ নিয়ে বিমান। ইতোমধ্যে বিমানের পাইলট ও ক্রুদের তালিকা স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, জরুরি ভিত্তিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৪৭৪ জন কেবিন ক্রু এবং ১৩৭ জন ককপিট ক্রুকে (পাইলট)- করোনা টিকার বুস্টার ডোজ প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মাসিক সমন্বয় সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়। মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিমান প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ছিলেন।
বিমানের ক্রুদের বুস্টার ডোজ গ্রহণ ১০০ ভাগ নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে যোগাযোগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জানা গেছে, গেলো মাসে কমপক্ষে ৬০ পাইলট এবং ৮০ জন কেবিন ক্রু করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। ক্রমাগত পাইলট ও কেবিন ক্রুরা করোনা আক্রান্ত হওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেনি বিমান। সংক্রমণ বাড়ায় ফ্লাইট বাতিল করছে বিমান। অনেক রুটে ফ্লাইট শিডিউল হুট করেই পরিবর্তন করা হয়। এতে ভোগান্তির মধ্যে পড়ে যাত্রীরা। অনেকেই দূরবর্তী শহর থেকে শত শত মাইল পথ পাড়ি দিয়ে বিমানবন্দরে এসে জানতে পারেন ফ্লাইট বাতিল। নতুন শিডিউলে পেতেও ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। অন্যদিকে পাইলট ও কেবিন ক্রুরা করোনায় আক্রান্ত হলে তাদের চিকিৎসা ব্যয় নিজেদের বহন করতে হয়। অতিরিক্ত কাজের চাপ, করোনা আক্রান্ত হওয়াসহ নানা কারণে হতাশ মধ্য দিন পার করছেন ককপিট ক্রুরা।
এ বিষয়ে বিমানের মুখপাত্র ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার বলেন, পাইলট ও ক্রুদের নামের তালিকা স্বাস্থ্য অধিদফতরে পাঠানো হয়েছে। তবে ২য় ডোজ নেওয়ার ৬ মাস পরে বুস্টার নেওয়ার একটি বিধান আছে। যারা ৬ মাস আগে ২য় ডোজ নিয়েছেন তাদের বুস্টার দিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।