বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউর ১৯ তলা ভবনের নকশা জালিয়াতির ঘটনায় রাজউকের সাবেক অথরাইজড অফিসার মিজানুর রহমান ও সুকমল চাকমার বিরুদ্ধে করা মামলা এক বছরে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাদের আগামী এক মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার রুল যথাযথ ঘোষণা করে বুধবার (২২ জুন) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে মিজানুরের পক্ষে আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও সুকমলের পক্ষে মোহাম্মদ হোসেন ও তাপস কুমার বিশ্বাস শুনানি করেন। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আসিফ হাসান। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
রাজউকের ওই দুই কর্মকর্তা বিরুদ্ধে ভবনের নকশা জালিয়াতির ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর বনানী থানায় দুদকের উপ-পরিচালক এস এম রফিকুল ইসলাম মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় ওই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বনানীর ৩৫ ও ৩৭ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ের চারটি বেজমেন্টসহ ১৯ তলা বাণিজ্যিক ভবনের নকশা অনুমোদন প্রক্রিয়ায় অনুমোদন কমিটির সভাপতি ও সদস্যের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে নকশা অনুমোদনের অভিযোগ করা হয়।
মামলাটির তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারি দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন আসামি সুকমল চাকমাকে ফৌজদারি অপরাধের দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে এবং অপর আসামি মিজানুর রহমানকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
পরে ২০১৯ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮-এর বিচারক শামীম আহাম্মদ শুনানি শেষে আসামি মিজানুর রহমানকে অব্যাহতি দেন। তবে সে আদেশের বিরুদ্ধে দুদক হাইকোর্টে ২০২০ সালে রিভিশন পিটিশন দায়ের করে। ওই আবেদনের শুনানি শেষে মিজানুর রহমানকে অব্যাহতি দিয়ে বিশেষ জজ আদালতের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে অপর আসামি সুকমল চাকমাকে অব্যাহতি দিয়ে দুদকের দেওয়া চার্জশিট কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেসব রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দিলেন হাইকোর্ট। এর ফলে অভিযোগ থেকে দুই কর্মকর্তাকে দেওয়া অব্যাহতির আদেশ বাতিল হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।