যাত্রাপথে যানজট আর অন্যান্য ঝক্কি-ঝামেলা এড়ানোর জন্যই ট্রেনের টিকিট পেতে দুই দিন স্টেশনে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকার ভোগান্তি বরণ করে নিচ্ছেন অনেকেই। অনেকেই ২০ থেকে ৩০ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও পাচ্ছেন না ‘সোনার হরিণ’ টিকিট। তবে টিকিটের এই ঝক্কি-ঝামেলা এড়াতে আগেভাগেই ঢাকা ছাড়ছেন অনেকেই। সোমবার (৪ জুলাই) ভিড় ঠেলে, প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে ট্রেনে উঠে বসেও গন্তব্যে যাওয়া হলো না শতাধিক যাত্রীর। কমলাপুরে স্টেশনে একটি ট্রেন যাত্রী বোঝাই বগি ফেলে রেখেই প্লাটফর্ম ছেড়ে গেছে।
ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানিয়েছেন, ট্রেনটি সকাল ১০টা ১০ মিনিটে পঞ্চগড়ের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ছেড়ে গেছে বেলা সাড়ে ১১টায়। সাত নম্বর প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে যাওয়ার ঠিক ১০ মিনিট আগে যাত্রীদের জানানো হয়, বগিটি বিকল হয়ে গেছে। ফলে সেটি রেখেই ছেড়ে যাবে ট্রেন।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বগিটির যাত্রীরা। তারা বলছেন, ঈদের আগে টিকিট কিনে ট্রেনে বসেও এভাবে ভোগান্তিতে পড়াটা অমানবিক।
যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা ভাবছিলেন বিকল্প কোনও ব্যবস্থা করা হবে, তবে তা করা হয়নি। এখন টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। ঈদের আগে এমন পরিস্থিতিতে টাকা নিয়ে এই ভোগান্তির ক্ষতিপূরণ হবে কীভাবে?
শফিকুল ইসলাম নামে এক যাত্রী বলেন, ‘বলা হচ্ছে, টাকা ফেরত দেওয়া হবে। কিন্তু এই সময়ে টাকা নিয়ে কী করবো? আমি কি সেই টাকায় আমার গন্তব্যে যেতে পারবো? আর এই সময় যে নষ্ট হলো সেটারইবা কী?’
কমলাপুর স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার জানান, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বগিটি ছাড়াই ট্রেনটি ছাড়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই ত্রুটিপূর্ণভাবে বগিটিসহ ট্রেন চললে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তাই সেটি রেখেই ট্রেনটি ছাড়তে হয়েছে।
বগিটিতে ১০৫ জনের মতো যাত্রী ছিল উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাদের রিফান্ড নিতে বলেছি। এ ক্ষেত্রে আমরা অল্টারনেটিভ বগি সংযুক্ত করি। কিন্তু আমাদের কাছে আজকে অল্টারনেটিভ বগি নাই।’