পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেচাকেনা করার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। আজ (৯ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর আফতাবনগর কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শনে গিয়ে এ আহ্বান জানান তিনি।
পশুর হাট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মেয়র বলেন, ‘ডিএনসিসি এলাকার ১০টি পশুর হাটে বিপুল সংখ্যক ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটেছে। হাটের সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা রেখেছি। হাটগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘মাস্ক আমার, সুরক্ষা সবার— এটি মানতে হবে সবাইকে। ডিএনসিসির প্রতিটি হাটে ১০০ জন করে মোট এক হাজার স্বেচ্ছাসেবক স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনাসহ সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ করছে।’
এ সময় আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপদ ও সহজ লেনদেন নিশ্চিত করতে প্রথমবারের মতো ডিএনসিসির ৬টি হাটে ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ স্থাপন করা হয়েছে। বুথগুলোতে কোনও চার্জ ছাড়াই ২৪ ঘণ্টা লেনদেন করা যাবে। সঙ্গে সঙ্গে একটি ডেবিট কার্ড প্রদান করা হচ্ছে। এর ফলে ঝুঁকি নিয়ে নগদ টাকা বহন করতে হবে না।’
হাটগুলোতে পশুর চিকিৎসার জন্য একটি করে মেডিক্যাল টিম রয়েছে বলেও তিনি জানান। মেয়র বলেন, ‘ডিএনসিসির প্রতিটি হাটে মেডিক্যাল টিমের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক পশুর চিকিৎসা প্রদান ও ওষুধসামগ্রী সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে।’
সাংবাদিকের এক প্রশ্নোত্তরে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘ইজারাদারকে নিজ দায়িত্বে ১২ ঘণ্টার মধ্যে পশুর হাটের বর্জ্য অপসারণ করতে হবে। পশুর হাটের বর্জ্য পরিষ্কার না হলে ইজারাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি তাদের জমাকৃত অর্থ বাজেয়াপ্তও করা হতে পারে।’
আরও এক প্রশ্নোত্তরে তিনি বলেন, ‘পশুর হাটের পার্শ্ববর্তী এলাকায় মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে। হাট চলাকালীন মশার ওষুধ ছিটানো যাচ্ছে না, কারণ এতে পশুর ক্ষতির ঝুঁকি রয়েছে। হাটের কার্যক্রম শেষ হলে এই এলাকাগুলোতে মশা নিধনে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
মেয়র আতিক আরও বলেন, ‘ঈদে বিপুল পরিমাণ বর্জ্য অপসারণ একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। ১২ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করার সব প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। ১০ হাজার কর্মী কাজ করবে। ৬০০ যানবাহন, পচনশীল পলি ব্যাগ এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্লিচিং পাওডার ও স্যাভলন রয়েছে। সবার সহযোগিতায় কোরবানির বর্জ্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিষ্কার করা হবে।’
নগরভবনে একটি কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। মেয়র বলেন, ‘কন্ট্রোলরুমে ফোন করে সবাই বর্জ্য সংক্রান্ত তথ্য জানাতে পারবে এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয় হবে। কন্ট্রোল রুমের ৩টি ফোন নম্বর: ১৬১০৬, ০২-৫৫৫০৫২০৮৪, ০৯৬০-২২২২৩৩৩।’ জনসাধারণকে এই নম্বরে বর্জ্য সংক্রান্ত তথ্য জানানোর আহ্ববান জানান তিনি।
পশুর হাট পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, কাউন্সিলরবৃন্দ এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
