বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে দেড়শ গজ আন্তর্জাতিক সীমারেখায় দীর্ঘদিন ধরে স্থবির হয়ে আছে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ। এগুলো বাস্তবায়নে নিজ নিজ কর্তৃপক্ষকে সম্পৃক্ত করে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণে একমত পোষণ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। দুই বাহিনীর নোডাল অফিসার পর্যায়ে যোগাযোগের ক্ষেত্র তৈরি এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উন্নয়নমূলক কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ এবং বিএসএফ মহাপরিচালক পঙ্কজ কুমার সিং এসব তথ্য জানান। রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দফতরে মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলনে অংশ নেন তারা।
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি এবং বিএসএফ মহাপরিচালক বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে থমকে থাকা উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়নের বিষয়ে নিজ নিজ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সম্পৃক্ত করে এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে পারস্পরিকভাবে সম্মত হয়েছি আমরা। পারস্পরিক ঐক্যমতের ভিত্তিতে যৌথ নদী কমিশন অনুমোদিত সীমান্তের অভিন্ন নদীগুলোর বন্ধ থাকা তীর সংরক্ষণ কাজ পুনরায় শুরুর জন্য যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়ে সম্মত হয়েছে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী।’
বিজিবি এবং বিএসএফ মহাপরিচালক যৌথভাবে বলেন, ‘সব বিষয়ে আমাদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। এরমধ্যে অনেক বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছি আমরা। এসব সিদ্ধান্ত যত দ্রুত সম্ভব বিওপি পর্যায়ে উপস্থাপন করা হবে। যে গতি নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে সেসব বিষয়ে আসা সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আমরা কাজ করে যাবো।’
দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে প্রকল্পের কাজ শিগগিরই শুরু করতে ভারতের পক্ষ থেকে সম্মতি বিষয়ক আলোচনা হয়েছে। বিএসএফ মহাপরিচালকের আশ্বাস, উভয় বিষয়ে তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমোদনের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবেন তারা।
রাজশাহী সীমান্তের চর মাঝারদিয়া ও খানপুর এলাকায় বসবাসরত স্থানীয়দের চলাচলের সুবিধার্থে শুষ্ক মৌসুমি পদ্মা নদীর ভারতীয় অংশের ১ দশমিক ৩ কিলোমিটার চ্যানেল ব্যবহারে অনুমতি প্রদানের বিষয়েও আলোচনা হয়।