ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত আলোচিত ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম (জি কে শামীম) ও তার সাত দেহরক্ষীকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সালাহউদ্দিন হাওলাদার এ তথ্য জানিয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন— মো. জাহিদুল ইসালাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. মুরাদ হোসেন।
এই রায়ে ‘সন্তুষ্ট’ জানিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, আট আসামির মধ্যে জি কে শামীম এবং তার দেহরক্ষীদের মধ্যে মো. আমিনুল ইসলাম ছাড়া অন্য ছয় জনকে অস্ত্র আইনের ১৯ এর ঙ ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন আদালত।
তিনি আরও জানান, আর অপর আসামি আমিনুল ইসলাম ‘জাল জালিয়াতির’ মাধ্যমে তার অস্ত্রের লাইসেন্স তৈরি করেছিল। তার অস্ত্রটি ‘৫৭/১৫’ নম্বরের লাইসেন্সটি সে জামালপুর জেলা প্রশাসন থেকে থেকে নিয়েছিল। তদন্তের পর বেরিয়ে আসে যে, লাইসেন্সটি ভুয়া। পরে তার বিরুদ্ধে ৪২০ এবং ৪০৬ ধারায় আলাদা মামলা দায়ের হয়েছিল। রায়ে তাকেও ১৯ (ক) এবং ১৯ (চ) ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন আদালত।
এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় তাদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদের আদালতের হাজত খানায় রাখা হয়। দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে তাদের আদালতে কাঠগড়ায় হাজির করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই রায় পড়া শুরু করেন বিচারক।
এর আগে, গত ২৮ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজ রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিন ধার্য করেন।
২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর অস্ত্র মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে র্যাব। ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি একই আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠন করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে রাজধানীর নিকেতনে শামীমের বাসা ও অফিসে র্যাব অভিযান চালিয়ে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গুলি, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর এবং নগদ প্রায় ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা এবং মদ জব্দ করে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও মানিলন্ডারিং আইনে তিনটি মামলা করা হয়।