ক্রমবর্ধমান শিল্পায়নের ফলে দেশে রাসায়নিক দ্রব্যের আমদানি ও ব্যবহার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এতে রাসায়নিক দুর্ঘটনার হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। আর সেকারণে বাংলাদেশে তফসিলভুক্ত রাসায়নিক দ্রব্য ও তফসিল বহির্ভূত স্বতন্ত্র জৈব রাসায়নিক দ্রব্য সংক্রান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।
রবিবার (২ অক্টোবর) ঢাকা সেনানিবাসস্থ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মাল্টিপারপাস হলে বাংলাদেশ জাতীয় কর্তৃপক্ষ, রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন (বিএনএসিডব্লিউসি) এর ১৯তম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বিএনএসিডব্লিউসি'র সদস্যসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা এবং সশস্ত্র বাহিনী হতে সর্বমোট ৪৫ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা অংশ নেন।
আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএনএসিডব্লিউসি’র ১৯তম সাধারণ সভায় এর চেয়ারম্যান ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সভাপতিত্ব করেন।
দেশের বন্দরগুলোতে দীর্ঘ সময় ধরে রক্ষিত রাসায়নিক দ্রব্য ধ্বংসের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সংস্থা সভাকে অবহিত করে।
এছাড়াও দেশে তফসিলভুক্ত রাসায়নিক দ্রব্যের আমদানি ও ব্যবহার আরও স্বচ্ছভাবে নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে এর সঙ্গে জড়িত সকল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বিএনএসিডব্লিউসির সাথে নিবন্ধন জোরদার করার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়। সেই সঙ্গে তফসিল বহির্ভূত স্বতন্ত্র জৈব রাসায়নিক দ্রব্য উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদেরও নিবন্ধনের আহ্বান জানানো হয়। এই নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজ করতে শিগগিরই ওয়েব পোর্টাল উম্মুক্ত করা হবে বলেও বিএনএসিডব্লিউসি সভাকে অবহিত করে।
সবশেষে বাংলাদেশে তফসিলভুক্ত রাসায়নিক দ্রব্য ও তফসিল বহির্ভূত স্বতন্ত্র জৈব রাসায়নিক দ্রব্য সংক্রান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সবাইকে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয় বলে জানানো হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
সভায় বাংলাদেশে রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন (সিডব্লিউসি) কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিএনএসিডব্লিউসির চলমান কাজগুলো পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও বাংলাদেশের রাসায়নিক নিরাপত্তা সুসংহতকরণ ও রাসায়নিক দুর্ঘটনা রোধে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার করণীয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হয়।
সভায় দুর্ঘটনা পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনায় বাহিনী থেকে গঠিত বাংলাদেশে কেমিক্যাল ওয়ারফেয়ার এজেন্ট সংক্রান্ত দুর্ঘটনায় সাড়া দানের জন্য এডহক কেমিক্যাল ডিজাস্টার রেসপন্স টিম (সিডিআরটি) গঠন ও এর ভূমিকা নিয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।