আড়াই বছর জেল খাটার পর অস্ত্র মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক বনদস্যু মো. আসাদুল ইসলাম ওরফে কোকিলকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী গোলাম আব্বাস চৌধুরী। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভুঁইয়া।
আইনজীবীরা জানান, স্বাভাবিক জীবনে ফেরার জন্যই আত্মসমর্পণ করেছিলেন বনদস্যুরা। কিন্তু অস্ত্র মামলায় সাজা হওয়ায় এই বনদস্যুকে আড়াই বছর জেলেই কাটাতে হয়েছে। ফলে তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি। এখন জামিন পাওয়ায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন।
এর আগে আত্মসমর্পণকারী ৩২৮ বনদস্যুর তালিকা আদালতে দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওই তালিকায় দণ্ডিত বনদস্যু মো. আসাদুল ইসলাম ওরফে কোকিলের নাম রয়েছে। যারা আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সুযোগ পেয়েছিলেন।
জানা গেছে, সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের চরপুটিয়া নামক স্থানে অভিযান চালায় র্যাব-৮ এর একটি দল। ওই অভিযান চলাকালে ২০১৬ সালের ৩০ মে আত্মসমর্পণ করেন আসাদুল। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি বিদেশি রাইফেল ও গুলি। এ ঘটনায় পরদিন বাগেরহাটের মোংলা থানায় মামলা করে র্যাব।
অস্ত্র আইনে করা এই মামলায় ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি আসাদুলকে ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। অস্ত্র আইনের ১৯(অ) ধারায় আসামিকে এই সাজা দেন বাগেরহাটের সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহা. গাজী রহমান। তবে রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক ছিলেন।
পরে আসামি আত্মসমর্পণ করে কারাগার থেকে রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। ওই আপিল বিচারাধীন থাকাবস্থায় আদালতে জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়।