ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলা বাতিল চেয়ে পুলিশ উপ-পরিদর্শকের করা আবেদন পর্যবেক্ষণসহ খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলাটির কার্যক্রম চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
রবিবার (৩ মার্চ) বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি একেএম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে মামলার বাদীর পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাহজাহান।
শুনানিকালে আদালত বলেন, এসআই শরিফুলের বিরুদ্ধে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। বিষয়টি বিচারিক আদালতে সাক্ষ্য-প্রমাণের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।
২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে এসআই শরিফুলের সঙ্গে বাদীর পরিচয় হয়। একই বছরের ১৩ নভেম্বর শরিফুল বাদীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে। একসময় বাদী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। তিনি বিষয়টি শরিফুলকে জানালে সে বাদীকে হাসপাতালে নিয়ে জোরপূর্বক গর্ভপাত করায়। পরবর্তীকালে শরিফুল বাদীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। এ অভিযোগে ২০২২ সালের ১৩ এপ্রিল শরিফুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মামলাটি তদন্ত করে ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা পায়। সিআইডি আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করলে অধস্তন আদালতের বিচারক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এরপর আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বিচারিক আদালত। এদিকে হাইকোর্ট থেকে আসামি জামিনে বেরিয়ে যায়। পাশাপাশি মামলা বাতিলে চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে আসামি শরিফুল ইসলাম। গত বছরের ১৯ নভেম্বর আসামির আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন এবং মামলার বিচারিক কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন।
জানা গেছে, বর্তমানে এসআই শরিফুল ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনে কর্মরত আছে। শরিফুল পাবনা জেলার সাঁথিয়া থানার চৈত্রহাটি গ্রামের মৃত বন্দে আলীর ছেলে।