কলকাতার নিউ টাউনের যে ফ্ল্যাটে ঝিনাইদহের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যা করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে যান বাংলাদেশের গোয়েন্দারা। আনার হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার জিহাদকেও সঙ্গে নেন তারা। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
কলকাতা গোয়েন্দা সূত্রের খবর, জিহাদের বর্ণনা থেকে জানা গেছে ঘরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে ক্লোরোফর্ম দিয়ে অচেতন করে ফেলা হয় আনারকে। এরপর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। রান্নাঘর সংলগ্ন একটা জায়গায় তাকে খুন করে আততায়ীরা। সেই জায়গায় ছিল একটি সিসিটিভি, যা আগে থেকেই কাপড় এবং লিউকোপ্লাস্ট দিয়ে ঢেকে রেখেছিল সিলিস্তা রহমান।
খুন করার পর সোজা রান্নাঘরে নিয়ে যাওয়া হয় দেহ। টুকরো টুকরো করা হয়। দেহ থেকে হাড় মাংস আলাদা করে প্যাকেটে ঢোকানো হয়। সিলিস্তার দাবি, সে ওপরে ছিল। নেমে এসে আর দেখেনি আনারকে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গোয়েন্দারা এটা জানতে পেরেছেন।
গোয়েন্দাদের দাবি, জিহাদ বলেছে ভাঙড়ের রাস্তায় বাগজোলা খালের কৃষ্ণমাটি ব্রিজের কাছে ফেলা হয় দেহাংশ। আনারের মোবাইল ও পোশাক ফেলা হয় গাবতলা বাজারের কাছে। মাথার খুলির টুকরো ফেলা হয় শাসনের কাছে একটি ভেড়িতে।
জিহাদ ওরফে সিয়াম আনারের সিম কার্ড নিয়ে পালিয়ে যায় নেপালে। নিজের মোবাইলে বার কয়েক অ্যাক্টিভও করে। তাই মুজাফফরপুরে আনারের মোবাইল অ্যাকটিভ পাওয়া গিয়েছিল।
সোমবার সেই ঘটনা পুনর্নির্মাণের পাশাপাশি দেহাংশের খোঁজে তল্লাশি চালানো হয়। ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে পাওয়া রক্তের নমুনা ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের জন্য পাঠানো হচ্ছে কলকাতা সিআইডি’র তরফ থেকে।