রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সেই পুরনো দৃশ্য! টিকিটের জন্য দীর্ঘ লাইন। ঈদযাত্রার চতুর্থ দিনে এসে সকাল থেকেই কমিউটার ট্রেনের টিকিট পেতে কাউন্টারের সামনে লাইনে অপেক্ষা করছেন হাজারও মানুষ। কমিউটার টিকিট কাউন্টার থেকে মানুষের লাইন গিয়ে পৌঁছেছে পার্কিং এরিয়া পর্যন্ত। একইরকমভাবে আন্তঃনগর ট্রেনের স্ট্যান্ডিং টিকিট পেতেও যাত্রীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
শনিবার (১৫ জুন) ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে সরেজমিনে ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়। দীর্ঘ লাইন দাঁড়িয়ে হলেও ঈদ করতে বাড়ি যেতে চান যাত্রীরা।
ঢাকা থেকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮টি কমিউটার ট্রেন দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত যাতায়াত করে। এইসব ট্রেনের টিকিট যাত্রা শুরুর আগে বেসরকারি কাউন্টার থেকে দেওয়া হয়ে থাকে। অন্যদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রা শুরুর ২ ঘণ্টা আগে ট্রেনের মোট আসনের ২৫ শতাংশ টিকিট স্ট্যান্ডিং হিসেবে বিক্রি করা হয়।
সকালে কথা হয় আন্তঃনগর ট্রেনের কাউন্টারের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের সঙ্গে। তারা বলেন, বসার সিট না পেলেও তারা দাঁড়িয়ে হলেও বাড়ি যেতে চান। তবে তারা অনেকেই জানেন না আন্তঃনগর ট্রেনের শুধু শোভন শ্রেণির ২৫ শতাংশ টিকিট দেওয়া হবে। এতে অনেকে ফিরেও গেছেন টিকিট না পেয়ে।
তিতাস কমিউটার ট্রেনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাবেন খলিলুর রহমান। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, তিতাস ট্রেনের টিকিটের কোনও লিমিট নাই। এরা যতক্ষণ পারবে টিকিট বিক্রি করে যাবে।
কর্ণফুলী কমিউটার (৪) ট্রেনটি ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটের ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে সেটি ছেড়ে যেতে পারেনি সঠিক সময়ে। ১০ মিনিট বিলম্ব নিয়ে ৮টা ৫৫ মিনিটে ট্রেনটি ঢাকা স্টেশন ত্যাগ করে।
চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী কমিউটার ট্রেন ছাড়ার আগে কথা হয় যাত্রী কামাল হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রায় দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করে টিকিট পেয়েছি। এখন চিন্তামুক্ত। দেরি হলেও বাড়ি পৌঁছাতে পারবোই।
আন্তঃনগর ট্রেনের কাউন্টারের লাইনে দাঁড়িয়ে জামালপুরগামী যাত্রী নাহিদ হোসেন বলেন, ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট দেয়। তবে অনেক সময় পাওয়া না পাওয়ার একটা বিষয় থাকে। এখন একটা স্ট্যান্ডিং টিকিট পেলেই হলো।
উল্লেখ্য, টিকিট কালোবাজারি রুখতে এবার রমজানের ঈদ ও কোরবানির ঈদ দুই বারই শতভাগ টিকিট অনলাইনে ছেড়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এছাড়া ঈদুল আজহা উপলক্ষে যাত্রীদের চাহিদা বিবেচনায় ট্রেনগুলোতে অতিরিক্ত ১৬২টি যাত্রীবাহী কোচ যুক্ত করা হয়েছে। এর বাইরে বুধবার (১২ জুন) থেকে ১০ জোড়া (২০টি) ঈদ স্পেশাল ট্রেন চলাচল শুরু করেছে।
আরও পড়ুন- ট্রেনের দরজায় ঝুলে ঈদযাত্রা