X
রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
৩ ফাল্গুন ১৪৩১

জলাবদ্ধতা নিরসন: দায়িত্বশীলরা ব্যর্থ, নগরবাসী সচেতন হবে কবে?

আতিক হাসান শুভ
১৩ জুলাই ২০২৪, ২১:০০আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৪, ২১:০০

জাদুর শহর ঢাকা। স্বপ্ন পূরণেরও। এই শহরে জীবিকা নির্বাহের তাগিদে ঠাঁই মিলেছে কোটি মানুষের। যে শহর কোটি মানুষের জীবন-জীবিকার সুযোগ করে দিয়েছে সেই শহরের একজন বাসিন্দা হিসেবে কী দায়িত্ব পালন করছি আমরা? উত্তর কিছুই না। করেছি শুধু দূষণ। নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা-আবর্জনা না ফেলে যে যার ইচ্ছামতো যেখানে সেখানে ময়লা ফেলে এ শহরে নিঃশ্বাস বন্ধ করেছি। ফলে স্বপ্নের শহর ধীরে ধীরে বাস অযোগ্য শহরে পরিণত হচ্ছে। এই শহর এখন জলে ভাসা পদ্ম।

এই শহরের একজন বাসিন্দা হিসেবে আমাদের কি কোনও দায়িত্ব নেই? সব দায়িত্ব কি নগরের দায়িত্বশীলদের? আমরা কবে দায়িত্বশীল হবো? প্রশ্ন আসতে পারে, আমাদের মানে নগরবাসীর আবার কিসের দায়িত্ব? আমরা যদি শুধু নৈতিকতার দিক থেকে মাত্র একটি দায়িত্ব পালন করি তাহলে এই শহরের ভোগান্তি অনেকাংশে কমবে। যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ছুড়ে না ফেলে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে আমরা যদি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেই, তাহলে এই নগরী যেমন সুন্দর ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে তেমনি বাসিন্দাদের ভোগান্তিও কমবে।

দেখা যায়, অল্প বৃষ্টিতেই রাজধানীজুড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এই জলাবদ্ধতার পেছনে মূল কারণ কী? নগরবিদদের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, নগরবাসীর অসচেতনতা, প্রভাবশালীদের দখলদারিত্ব এবং নগরের দায়িত্বশীলদের ব্যর্থতা জলাবদ্ধতার মূল কারণ। নগরের দায়িত্বশীলদের ব্যর্থতার আলাপে খানিকটা পর আসি। তার আগে জলাবদ্ধতার পেছনে নগরবাসী এবং প্রভাবশালীদের দখলদারিত্ব কতটুকু দায়ী সেই আলোচনা করা যাক।

রাস্তায় বের হলেই দেখা যায়, নগরীর মানুষ যখন কোনও পানীয় পান করে, সেই পানীয়র বোতল রাস্তায় ছুড়ে ফেলে। দিনশেষে সেই বোতলের ঠাঁই হয় ড্রেনে। এরকম নিত্যদিনের খাওয়া সব জিনিসপত্রের প্যাকেট বা খোসারও ঠাঁই মেলে ড্রেনে এবং ম্যানহোলের ঢাকনায়। একসময় মানুষের ফেলা এসব ময়লা-আবর্জনা ড্রেনে আটকে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়। ফলে অল্প বৃষ্টি হলেও ড্রেন পরিষ্কার না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। যার চিত্র জলাবদ্ধতা হলেই দেখা যায়।

নগরীতে যখন জলাবদ্ধতা হয় তখন দেখা যায়, ম্যানহোলের ঢাকনা ভর্তি পলিথিন-প্লাস্টিকে। সিটি করপোরেশনের কর্মীরা তখন ম্যানহোল থেকে পলিথিন উদ্ধার করে, ড্রেনে থেকে টনের পর টন বর্জ্য অপসারণ করে। গত কয়েক দফার বৃষ্টিতে সেই দৃশ্য দেখা গেছে। অনেকের গৃহস্থালি এবং দোকানপাটের ময়লা আবর্জনাও পাওয়া যায় ড্রেনে। ফলে নিজেদের কৃতকর্মের জন্য বৃষ্টি হলেই ভোগান্তি পোহাতে হয়।

টানা জলাবদ্ধতায় নাজেহাল অবস্থা নগরবাসীর (ছবি: সাজ্জাদ হোসেন)

এদিকে পানি প্রবাহের জন্য একসময় রাজধানীতে যতগুলো খাল ছিল তার অধিকাংশই এখন প্রভাবশালীদের দখলে। যে কয়টি খাল আছে তার কিনারাও দখল করে ধীরে ধীরে খালের প্রসস্ত সরু করে ফেলেছে দখলদাররা। ইতিহাস থেকে জানা যায়, একসময় এই নগরীতে ৬৯টি খাল আর ৯৭টি পুকুর ও জলাধার ছিল। চারপাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদীর সঙ্গে সংযুক্ত ছিল ওই খালগুলো।

নৌকা, স্টিমার চলতো সেসব খালে। সে সময় নৌপথে মালামাল পরিবহণ ও বাণিজ্যিক প্রসার ঘটে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে অপরূপ ছিল তখন ঢাকা। কিন্তু বর্তমানে সর্বসাকুল্যে তার তিন ভাগের দুই ভাগও নেই। দায়িত্বশীলদের অবহেলা ও গাফিলতিতে দখল-দূষণে বহু খাল বিলুপ্ত হয়ে গেছে। যার কারণে পানি প্রবাহের যে স্বাভাবিক পথ তা অনেক আগেই বিঘ্ন হয়েছে। ফল স্বরূপ আজকের এই জলাবদ্ধতা।

একসময় শাহবাগ থেকে মগবাজার পর্যন্ত খাল ছিল, ঢাকা ওয়াসার মানচিত্রে এর নাম ছিল পরীবাগ খাল। তবে সেখানে এখন খালের চিহ্ন নেই। ঠিক একইভাবে ধোলাইখাল, রায়েরবাজার, আরামবাগ, গোপীবাগ, সেগুনবাগিচা, কাঁঠালবাগান, নারিন্দা, ধানমন্ডি খালেরও কোনও অস্তিত্বই এখন নেই। দখল-দূষণে মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকার কাটাসুর ও রামচন্দ্রপুর খালও হারিয়ে গেছে। শুধু এসব এলাকা নয়, রাজধানী ঢাকার সব খালের চিত্র একইরকম। অনেকগুলো খাল এখন বিলুপ্ত। যেগুলো রয়েছে তার বেশিরভাগই সংকুচিত হয়ে পড়ছে। আগে খালের প্রস্থ ছিল ১৫০ ফুটের বেশি। খালের সঙ্গে নদীর যে যোগাযোগ ছিল তা এখন বিচ্ছিন্ন। খালের পানি এখন আর নদীতে গড়ায় না। মূলত খালগুলো হারানোর সঙ্গে সঙ্গে ক্রমাগতভাবে বেড়েছে জলাবদ্ধতা।

নগরবিদরা বলছেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে দুই সিটি করপোরেশনের উচিত নগরকে ঢেলে সাজানো। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- রাজধানীর দখল হয়ে যাওয়া খালগুলো উদ্ধার করে পুনরায় সেখানে পানি প্রবাহ চালু করা। অতিবৃষ্টি মাথায় রেখে পরিকল্পনা অনুযায়ী পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল করা। একইসঙ্গে নগরবাসীর মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জনগণের সচেতনতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে প্রয়োজনে জরিমানা বা শাস্তির বিধানের বিষয়েও জোর দেন নগরবিদরা।

এবার নগরীর দায়িত্বশীল অর্থাৎ দুই সিটি করপোরেশনের পালা। জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রতিবছর রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রকে হরহামেশা নানান ধরনের গলাবাজি করতে দেখা যায়। তাদের ভাষ্যমতে প্রতিবছরই জলাবদ্ধতা নিরসনে বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প ও নানা ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবুও জলাবদ্ধতা নিরসনের কোনও ফল পায়নি নগরবাসী। বলা চলে জলাবদ্ধতার প্রশ্নে দুই সিটি করপোরেশন প্রাপ্ত নম্বর বরাবরের মতো শূন্য।

বৃষ্টির পর মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর সংলগ্ন সড়ক (ছবি: নাসিরুল ইসলাম)

উদাহরণস্বরূপ ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও অনেক এলাকার অলিগলি জলাবদ্ধ হয়ে আছে। তন্মধ্যে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, শ্যাওড়াপাড়া, কাজীপাড়াসহ মিরপুরের বিভিন্ন এলাকা এবং মিরপুরে মাজার রোড, ফার্মগেট, তেজগাঁও, শান্তিনগর, শাহজাহানপুর, দক্ষিণ মনিপুরের মোল্লাপাড়াসহ মহাখালীর অলিগলিতে পানি জমে আছে। এছাড়াও দয়াগঞ্জ মোড়, সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল, নিমতলী, যাত্রাবাড়ী, বংশাল, দক্ষিণ কুতুবখালী, কাজলা, শনির আখাড়া, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ও ডেমরা (ডিএনডি এলাকা) রায়েরবাগ, গোলাপবাগের নিচু এলাকাসহ আরও কয়েকটি এলাকার অলিগলি জলাবদ্ধ হয়ে আছে।

দুই সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জলাবদ্ধতা নিরসনে গত চার বছরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন প্রায় ৩৬০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন প্রায় ৩৭০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। গত চার বছরে জলাবদ্ধতা নিরসনে এত টাকা ব্যয়ের কী সুফল পেয়েছে নগরবাসী তার চিত্র গতকালকের মাত্র তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতে দেখা গেছে। দুই সিটির অন্তত ৩০টি এলাকা ডুবেছে বৃষ্টিতে। চব্বিশ ঘণ্টা পর এখনও অনেক এলাকা জলাবদ্ধ।

দুই সিটির জনসংযোগ বিভাগ জানায়, গতকাল বৃষ্টি থামার পর থেকে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা জলজট নিরসনে কাজ শুরু করেছে। দুই সিটির প্রায় ৬ হাজার কর্মী জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করেছে। সেই কাজ রাত বারোটা পর্যন্তও চলমান ছিল। হট লাইনে যারা ফোন দিয়েছে সেখানেই সিটি করপোরেশনের কর্মীরা ছুটে গিয়েছে।

জলাবদ্ধতার বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস নগর ভবনে গত বছরের জুলাই মাসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, বর্ষা মৌসুমে আমাদের বড় দুশ্চিন্তা ছিল জলমগ্নতা এবং জলাবদ্ধতা। তবে আমরা যখন ২০২০ সালে দায়িত্ব নিই তখন খাল, নর্দমাগুলো আমাদের দায়িত্বে ছিল না। তখন অল্প বৃষ্টিতেই ঢাকা শহরের ৭০ ভাগ এলাকা জলমগ্ন হয়ে যেত, প্লাবিত হয়ে যেত। মনে হতো যেন বন্যা হয়ে গেছে। ঢাকা দক্ষিণের জলাবদ্ধতা সমস্যা ৭০ শতাংশ থেকে এখন ১০ শতাংশে নেমে এসেছে।

মেয়রের ভাষ্যমতে দায়িত্বভার গ্রহণ করার মাত্র ৩ বছরে তিনি ৬০ শতাংশ জলাবদ্ধতা নিরসন করেছেন। বাকি ছিল মাত্র ১০ শতাংশ। গত এক বছরে সেই ১০ শতাংশ নিরসন করা সম্ভব হয়নি। আগামী এক বছর পরেও যে সম্ভব হবে না তা মোটামুটি বোধগম্য। জলাবদ্ধতা নিরসনে মেয়র কতটুকু অবদান রেখেছেন তা অল্প বৃষ্টিতেই বোঝা যায়। নগরবাসী ঠিক কবে এই জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারবে না কেউ।

বেগম রোকেয়া সরণির মিরপুর অংশে জলাবদ্ধতা (ছবি: নাসিরুল ইসলাম)

অন্যদিকে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে নর্দমা উন্নয়ন কাজের উদ্বোধনী এক অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম জলাবদ্ধতার বিষয়ে বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কোনও এলাকায় আর জলাবদ্ধতা থাকবে না। যেসব এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় সেসব এলাকার একটি তালিকা তৈরি করেছে ডিএনসিসি‌। এসব এলাকায় পর্যায়ক্রমে জলাবদ্ধতা দূর করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মেয়রের এই বক্তব্যের পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও নগরবাসী এখনও জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই পায়নি।

জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশনের কী করা উচিত সে বিষয়ে কথা হয় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহাম্মদ মেহেদী আহসানের সঙ্গে। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘সিটি করপোরেশন কাজ করছে কম, কিন্তু ফলাও করছে বেশি। দুই সিটির উচিত আগে পানি প্রবাহের পথ সুগম করা। রাজধানীতে যেখানে পানি থাকার কথা, যেখান দিয়ে স্বাভাবিক পানি প্রবাহের কথা, সেটা হচ্ছে না। তাহলে জলাবদ্ধতা নিরসন কীভাবে হবে! তবে উপায় আছে। সেটা যদি দুই সিটি করপোরেশন সঠিকভাবে করতে পারে, তাহলে সম্ভব। যদি পানি প্রবাহ ও নিষ্কাশনের পথ সুগম করতে পারে তাহলে জলাবদ্ধতা কমবে।’
এই পরিকল্পনাবিদ আরও বলেন, ‘দখল হয়ে যাওয়া খালগুলো উদ্ধার করে সেখানে পানি প্রবাহের পথ তৈরি করতে হবে। রাজধানীতে আরও জলাধার সৃষ্টি করতে হবে। আরও ৯-১০টা হাতিরঝিল তৈরি করতে হবে। এতে করে অনেক সুযোগ-সুবিধা পাবে রাজধানীবাসী। উন্নত বিশ্বের দিকে যদি আমরা তাকাই, তাহলে দেখতে পাবো তারা জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণে ঠিক একই প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছে। তারা পানি নিষ্কাশনের এবং প্রবাহের পথ স্বাভাবিক রেখেছে। পরিকল্পনামাফিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা করেছে। সব জায়গায় নিয়ম এক। যারা মানছে তারা সুফল পাচ্ছে। ঢাকা শহরকে এখন ঢেলে সাজানো প্রয়োজন। তবে এর জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রতি প্রয়োজন।’

জলাবদ্ধতা নিরসনের বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘দক্ষিণ সিটির আওতাধীন নর্দমাগুলোর ৫০ ফুট অন্তর অন্তর যে ক্যাচপিট রয়েছে সেগুলো ঠিকমতো পানি নিষ্কাশন করতে পারছে না। এর প্রধান কারণ নগরবাসী অভ্যাসগত কারণে যত্রতত্র পলিথিন ও প্লাস্টিক জাতীয় বর্জ্য ফেলছে। বৃষ্টি হলে সেগুলো ক্যাচপিটে গিয়ে জমা হয়। আমরা লোকবল দিয়ে একদিকে পরিষ্কার করছি আবার অন্যদিকে সেগুলো আটকে যাচ্ছে। ফলে, পানি সরতে দেরি হয়েছে। আর পানি সরতে বিলম্ব হলেই স্বাভাবিকভাবে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়।’

জলাবদ্ধতা নিরসনের সুফল পেতে নগরবাসীকে সচেতন হওয়ার অনুরোধও জানান দক্ষিণ সিটির এই কর্মকর্তা।

জলাবদ্ধতা নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা আমাদের ড্রেনেজ সিস্টেমগুলো আপগ্রেড করছি। এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়েসহ অন্য ডিপার্টমেন্টে কিছু ডেভলপমেন্ট ওয়ার্ক আছে। আমরা ড্রেনেজ সিস্টেম আপগ্রেড করি, তাদের আবার প্রয়োজনে এগুলো খুঁড়তে হয়, ভাঙতে হয়। আবার রিপেয়ার করতে হয়। এসব কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এছাড়াও নগরবাসী পলিথিন গার্বেজ, এটা ওটা যত্রতত্রে ফেলে পানি নিষ্কাশনের যে পথ তা বন্ধ করে দেয়, আমাদের আউটলেটগুলো সব ব্লক করে দেয় ময়লা আবর্জনা ফেলে। আমরা প্রত্যাশা করি নগরবাসী এ সব বর্জ্য যেখানে সেখানে না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলবে।’

এ মুহূর্তে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন কোথাও জলাবদ্ধতা নেই বলেও দাবি করেন তিনি।

/আরআইজে/
সম্পর্কিত
রাজধানীতে সিএনজি অটোরিকশা চালকদের অবরোধ, বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল বন্ধ
নাট্যোৎসব বন্ধ বা স্থগিত করা সম্পর্কে নির্দেশনা দেয়নি ডিএমপি
কাওরানবাজারে ইটিভি ভবনে আগুন, আধা ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে
সর্বশেষ খবর
লাল কার্ডের ঘটনাকে ‘ভুল বোঝাবুঝি’  বলছেন বেলিংহ্যাম
লাল কার্ডের ঘটনাকে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ বলছেন বেলিংহ্যাম
ডিসি সম্মেলন শুরু, উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা
ডিসি সম্মেলন শুরু, উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা
বগুড়ায় হোটেল ম্যানেজার হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার
বগুড়ায় হোটেল ম্যানেজার হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার
৬ মাস পর পারিবারিক কবরস্থানে শায়িত জুলাই আন্দোলনে নিহত হাসান
৬ মাস পর পারিবারিক কবরস্থানে শায়িত জুলাই আন্দোলনে নিহত হাসান
সর্বাধিক পঠিত
কবি সোহেল হাসান গালিব কারাগারে
কবি সোহেল হাসান গালিব কারাগারে
ভালোবাসা দিবসে শহরের রাস্তায় উত্ত্যক্তের শিকার নারী সমন্বয়ক
ভালোবাসা দিবসে শহরের রাস্তায় উত্ত্যক্তের শিকার নারী সমন্বয়ক
ভারতের কাছে ট্রাম্পের যুদ্ধবিমান বিক্রির প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ পাকিস্তান
ভারতের কাছে ট্রাম্পের যুদ্ধবিমান বিক্রির প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ পাকিস্তান
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন
মোহাম্মদপুরের হাইক্কার খাল উদ্ধারের উদ্যোগ
মোহাম্মদপুরের হাইক্কার খাল উদ্ধারের উদ্যোগ