কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে এবার এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। তার নাম হাসান মেহেদী। যাত্রাবাড়ী এলাকায় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গুরুতর আহত হলে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়া ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আজিমপুর থেকে আরও একজনের মৃতদেহ এসেছে। এ নিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে এক ডজনেরও বেশি নিহতের খবর যাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে। তবে পুলিশ বা ফায়ার সার্ভিস কোনও নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেনি।
ঢাকা টাইমস-এর সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, হাসান মেহেদী নামে আমাদের একজন রিপোর্টার যাত্রাবাড়ীতে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিল। তার বাড়ি কেরানীগঞ্জে। তার নিহত হওয়ার খবর পেয়ে আমি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দিকে রওনা হয়েছি।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মেহেদীর বুকে ও মাথায় ছররা গুলির দাগ রয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সারা দেশে কমপ্লিট শাটডাউনের ডাক দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রাজধানীর উত্তরা ও বাড্ডায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় একাধিক তরুণ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়া ঢাকার বাইরে সাভার, মাদারীপুর, চট্টগ্রামেও একাধিক তরুণ নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে পুলিশের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রাজধানী ঢাকার উত্তরা, বাড্ডা, মহাখালী, ধানমন্ডি ২৭, রামপুরা, যাত্রাবাড়ী, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষে শতাধিক আহতের ঘটনা ঘটেছে। ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।