কাজের মেয়ে লিজা হত্যা মামলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. জুয়েল রানাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইনের আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন চার দিনের রিমান্ড শেষে জুয়েল রানাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. পায়েল হোসেন। সোহেল রানার পক্ষে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। পাশাপাশি তার চিকিৎসা ও ডিভিশনের আবেদন করেন আইনজীবী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতেরও জামিন আবেদন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে।
শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন। জুয়েল রানাকে কারাবিধি অনুযায়ী চিকিৎসা ও ডিভিশনের নির্দেশ দেন আদালত।
গত ১৮ অক্টোবর তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর নিহতের বাবা মো. জয়নাল শিকদার বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ১৭৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৮ জুলাই রমনা থানাধীন এলাকায় আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণে গুলি ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়। এতে ছাত্রজনতা ও সাধারণ মানুষ আহত হয়। তখন বাড়ির নিচে থাকা অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হন লিজা আক্তার। পরে গত ২২ জুলাই বিকালে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।