হাজী মোহাম্মদ সেলিমের আইনজীবী প্রাণ নাথ বলেছেন, হাজী সেলিম কারাগারে তেমন সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না। তিনি কথা বলতে পারেন না। এমনকি তার কথাও কেউ বুঝতে পারেন না। এসব কারণে তিনি আদালতের কাঠগড়ায় বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। কিন্তু আমাদের তো এখন কিছু করার নেই। যতটুকু পারছি আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তার সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি দেখছি।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের গ্রেফতার শুনানি শেষে তিনি এ কথা বলেন। এদিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহের আদালত তাকে যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় গ্রেফতার দেখান।
সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে হাজী সেলিমসহ অন্য আসামিদের হাজতখানায় হাজির করা হয়। পরে ১০টা ৬ মিনিটে পুলিশ পাহারায় হেলমেট, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হ্যান্ডকাফ পরিয়ে হাজতখানা থেকে বের হয়। আদালতে তোলার পর হাজী সেলিমের হেলমেট খুলে দেয় পুলিশ। তখন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি নিজের আইনজীবীর প্রতি বিরক্ত প্রকাশ করেন। তিনি মেজাজ হারিয়ে নানা ধরনের অঙ্গভঙ্গি করতে থাকেন। মাঝেমধ্যে নিজের হাতের আঙুল দিয়ে বিভিন্ন কিছু বুঝানোর চেষ্টা করেন। পরে তাকে যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। তখন তার আইনজীবী প্রাণ নাথ কথা বলার জন্য আদালতের অনুমতি প্রার্থনা করেন। পরে আদালতের অনুমতি নিয়ে কাঠগড়ায় তার আইনজীবী দুই পৃষ্ঠার প্রিন্ট করা কাগজ তাকে পড়তে দেন। এ সময় আইনজীবীরা তাকে বুঝিয়ে দেন। পরে ১০টা ৩৮ মিনিটে আবারও পুলিশ পাহারায় হাজী সেলিমকে আদালত থেকে হাজতখানায় নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে হাজী সেলিমের আইনজীবী প্রাণ নাথ বলেন, পটুয়াখালীর পায়না বন্দরে সংলগ্ন এলাকায় তার মালিকানাধীন মদিনা মেরিটাইমের নামে সাড়ে ১০ একর জমি রয়েছে। এই জমি সরকার অধিগ্রহণ করে নেওয়ার খবরটি তাকে জানানো হয়েছে। এছাড়া এই প্রতিষ্ঠানের জন্য আরও সাড়ে ১০ একর জমি ক্রয়ের রেজিস্ট্রেশন করা হবে, এই তথ্যও তাকে কাগজে লিখে জানানো হয়েছে।