পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটির শেষ দিনে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে ট্রেনযাত্রীদের ভিড় উপচে পড়েছে। গ্রাম থেকে ফেরা মানুষে স্টেশন হয়ে উঠেছে জনারণ্য। ট্রেনের সময়সূচি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, বিলম্ব ঘটেছে বেশ কয়েকটি ট্রেনের যাত্রায়।
শনিবার (১৪ জুন) বেলা ১১টার দিকে কমলাপুর রেলস্টেশনে সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি ট্রেন থেকেই ধারণক্ষমতার তুলনায় অনেক বেশি যাত্রী নামছেন। অনেকে ট্রেনের ছাদেও ভ্রমণ করেছেন। এমন চিত্র দেখা গেছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) কামড়াগুলোতেও। যাত্রীদের বেশিরভাগের মুখে নেই মাস্ক, স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়েও অনীহা চোখে পড়েছে।
এদিকে শুধু ঢাকামুখী নয়, ঢাকার বাইরে কর্মরতরাও আজই গন্তব্যে রওনা হয়েছেন। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, আগামীকাল রবিবার (১৫ জুন) সরকারি অফিস খোলার কথা থাকায় আজ যাত্রীচাপ বেড়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসা বনলতা এক্সপ্রেসের এক যাত্রী, জমির আলী বলেন, ‘কাল থেকে অফিস, তাই আজই ফিরতে হলো। যাত্রীচাপ আর ধীরগতির কারণে ট্রেন একটু দেরিতে এসেছে।’
অন্যদিকে, বেলা সোয়া ১১টার দিকে সিলেটগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসের যাত্রী শামীম আহমেদ জানান, তিনি কামরাঙ্গীরচরের বাসিন্দা। ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থল সিলেটে ফিরে যাচ্ছেন আজ।
কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. সাজেদুল ইসলাম দুপুর ১১টায় সাংবাদিকদের জানান, এ পর্যন্ত ঢাকা থেকে ২৩টি এবং ঢাকায় এসে পৌঁছেছে ১৪টি ট্রেন। আজ পুরো দিনে আসা-যাওয়ার কথা রয়েছে ৭১ জোড়া ট্রেনের। এর মধ্যে পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর, একতা ও বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেন তিনটি দেড় থেকে দুই ঘণ্টা দেরিতে এসেছে। এছাড়াও আরও কয়েকটি ট্রেন ১৫-২০ মিনিট দেরিতে ছেড়েছে বলে জানান তিনি।
স্বাস্থ্যবিধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি নিয়ম মানাতে, তবে যাত্রীদের সচেতনতাও এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি।’