X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৪ বৈশাখ ১৪৩১

‘জীবিকার তাগিদে আসতে হলো’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৩ আগস্ট ২০২১, ১২:৪৫আপডেট : ০৩ আগস্ট ২০২১, ১২:৪৬

‘গত দুইদিনসহ আজও গার্মেন্টসে অনুপস্থিত। এই তিনদিনের তো বেতন পাবো না। তাই কষ্ট করে চাকরি বাঁচাতে জীবিকার টানে কর্মস্থলে ফিরতে হচ্ছে’ ‑ কথাগুলো বলছিলেন যশোর থেকে চট্টগ্রামে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতে যাওয়ার সময় রাজধানীর গাবতলীতে অপেক্ষারত হাসনা বেগম। তিনি বলেন, প্রায় নয় বছর হলো চট্টগ্রামের একটি গার্মেন্টসে (পোশাক কারখানা) কাজ করছি। ঈদের ছুটিতে যখন আসি তখন গার্মেন্টস থেকে বলা হয়েছিল ৫ তারিখ থেকে গার্মেন্টস খোলা থাকবে। তবে গত ১ তারিখ খোলা থাকলেও যানবাহনের ব্যবস্থা না থাকায় আমরা যেতে পারিনি। এখন গতকাল সোমবার (২ আগস্ট) যশোর থেকে রওনা দিয়ে ঢাকা পর্যন্ত এসেছি মাইক্রোবাসে। আমার এক ভাই আছে‑ তার সহায়তায় একটি মাইক্রোবাসে করে চট্টগ্রাম যাবো।

এদিকে, সাদেক মিয়া এসেছেন রংপুর থেকে। ঢাকার যাত্রাবাড়ীর একটি গার্মেন্টসে কাজ করেন তিনি। গণপরিবহন চালু হলেও শেষ সময় বাস না পাওয়ায় কর্মস্থলে যেতে পারেননি তিনি। তাইতো আজ পিকআপে করে আমিন বাজার পর্যন্ত। তারপর হেঁটে গাবতলী ব্রিজ পার হয়ে গন্তব্যের দিকে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, চাকরি করলে অনেক কিছু সহ্য করতে হয়। আর আমরা তো ছোটখাটো চাকরি করি, এটা দিয়েই আমাদের পরিবারকেও গ্রামে টাকা পাঠাতে হয়। তাই বাধ্য হয়েই কষ্ট করে ঢাকা ফিরতে হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) রাজধানীর গাবতলী এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গার্মেন্টসের কাজে যোগ দিতে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রাজধানীতে আসছেন অনেকে। শুধু পরিবারের কথা চিন্তা করে এবং নিজের চাকরি বাঁচাতে ভোগান্তি-কষ্ট এবং বেশি টাকা ব্যয় করেও কর্মস্থলে ফিরছেন তারা।

‘জীবিকার তাগিদে আসতে হলো’ দেখা গেছে, যারাই বিভিন্ন দূরপাল্লার গন্তব্য থেকে রাজধানীর দিকে আসছেন, আমিনবাজার কিংবা সাভার এলাকায় পিকআপগুলো তাদের নামিয়ে দিচ্ছে। তারপর তারা গাবতলী ব্রিজ হেঁটে পার হয়ে রাজধানীতে প্রবেশ করছেন। তবে পরিবহন না থাকায় সাভার ও আমিন বাজার থেকে যারা চিকিৎসার জন্য রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল অভিমুখে যাচ্ছেন তাদের ভোগান্তি কম নয়। হেঁটে হেঁটে তাদের গাবতলী পার হতে হচ্ছে। পরিবারের সদস্যদের হাতে ভর দিয়ে কিছুক্ষণ জিরিয়ে নিয়ে থেমে থেমে রাজধানী দিকে এগুচ্ছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গার্মেন্টস খুলে দেয়ার পর থেকে রাজধানীতে ঢুকা এবং বাইরে বের হওয়া ব্যক্তিগত গাড়ি চাপ বেড়েছে। এছাড়া সম্প্রতি পুলিশ সদস্যদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের মাত্রাও বেড়ে গেছে। তাইতো, অনেকটাই শিথিলতা রয়েছে চেকপোস্টে। তবে যানবাহনগুলোকে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে, যদি কোনও ধরনের অযৌক্তিক কিংবা প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি আমরা বুঝতে পারি তাহলে গাড়িগুলোকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, নয়তো মামলা দেওয়া হচ্ছে।

/আরটি/এমএস/
সম্পর্কিত
কাওরানবাজারে প্রাইভেটকারে আগুন
রাজধানীতে মাদকদ্রব্যসহ একদিনে গ্রেফতার ২৪
মুগদায় রিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার
সর্বশেষ খবর
ঢাকা উইমেনস ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হবে ২৪ মে
ঢাকা উইমেনস ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হবে ২৪ মে
রাফাহ ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নিলো ইসরায়েলি বাহিনী
রাফাহ ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নিলো ইসরায়েলি বাহিনী
কাওরানবাজারে প্রাইভেটকারে আগুন
কাওরানবাজারে প্রাইভেটকারে আগুন
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশ বন্ধকে ‘ডাল মে কুচ কালা’ বললেন ড. দেবপ্রিয়
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশ বন্ধকে ‘ডাল মে কুচ কালা’ বললেন ড. দেবপ্রিয়
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র