ঈদুল আজহার সপ্তম দিন আজ শুক্রবার (১৩ মে)। রাজধানীতে এখনও রয়েছে ছুটির আমেজ। শব্দদূষণ, যানজটসহ নেই চিরচেনা কর্মচাঞ্চল্য। ঈদের ছুটির রেশ যেন পুরোপুরি কাটেনি। ভাঙেনি নগরীর নীরবতা।
শুক্রবার (১৩ মে) রাজধানীর সচিবালয়, শাহবাগ, সায়েন্সল্যাব, গুলিস্তান, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্ট ট্রাফিক পুলিশ নেই বললেই চলে। মোড়গুলোতে থাকলেও কোনও কাজ করতে হচ্ছে না তাদের। যানবাহনগুলো কোনও ধরণের ট্রাফিক সিগন্যাল ছাড়াই চলাচল করছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিসসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় প্রাইভেট কার, বাস ও মোটরসাইকেলের চাপ কমায় জ্যাম নেই। সেই সঙ্গে কমেছে যানবাহনের শব্দ। রবিবারের (১৫ জুন) মধ্যে চিরচেনা রূপে ফিরতে পারে দেশের এই প্রাণকেন্দ্র।
গাড়ি চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি বছর ঈদের পরে কয়েক দিন ফাঁকা থাকে রাজধানী। তবে ঈদের ছুটি শেষ হলেই অথবা অফিস খুললেই শুরু হবে ব্যস্ততা। তখন রোডে গাড়িও বাড়বে জ্যামও বাড়বে।
ট্রাক ড্রাইভার আলী হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এই সময়টাতে ঢাকায় গাড়ি চালিয়ে শান্তি পাওয়া যায়। সারা বছর এমন থাকলে কোনও ভোগান্তিই থাকতো না। তবে কয়েকদিনের মধ্যেই আবার আগের মতো হয়ে যাবে। অফিস-আদালত খুললেই তখন আর ফাঁকা থাকবে না। অলরেডি ঢাকায় মানুষ ঢুকতে শুরু করেছে।
শাহবাগে কথা হয় বৃদ্ধ রিকশাচালক জহির উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি ১১ বছর ধরে ঢাকায় রিকশা চালান। জহির উদ্দিন বলেন, ঈদে বেশিরভাগ মানুষই বাড়ি চলে যায়। এ সময় ঢাকায় জ্যাম কম থাকে, মানুষ কম থাকে। পরিবেশ সুন্দর হয়। কিন্তু আমাদেরও আয় কমে যায়। যাত্রী পাওয়া যায় না। তবে এ সময়টাতে ঢাকায় জ্যাম থাকে না। দ্রুত এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়া যায়।
ঈদে ঢাকায় অবস্থান করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইমরান শরীফ। তিনি মিরপুরে থাকেন। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ঈদের সময় আমার কাছে মনে হয় ঢাকা কয়েক দিনের জন্য রাজধানী থাকে না। কোনও মানুষ দেখা যায় না। গাড়ি-ঘোড়া চলে না। এটা আমার ভালোই লাগে। এ সময় ঢাকায় কোনও ধরণের ভোগান্তিও থাকে না। এ সময় আবার চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনাও কমে যায়। এ রকম পরিচ্ছন্ন সুন্দর রাজধানীই আমরা চাই।