রাজধানীর মোহাম্মদপুর, বছিলা, রায়েরবাজার ও পশ্চিম ধানমন্ডি এলাকার খাল পুনরুদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন। মঙ্গলবার (১১ জুন) সকালে হাইক্কার খালের মুখে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
হাইক্কার খাল, লাউতলা খাল, বছিলা উত্তরপাড়া খাল, বিবির খাল, চন্দ্রিমা খাল, আটিখাল বাঁচাও-বুড়িগঙ্গা বাঁচাও’ এই দাবিতে মানববন্ধন করেছে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), বুড়িগঙ্গা রিভার কিপার, বুড়িগঙ্গা নদী মোর্চা এবং বছিলা এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে ধরার সদস্য সচিব এবং পরিবেশ ও মানবাধিকারকর্মী শরীফ জামিল বলেন, ‘নদীর জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ছোট নদী, শাখা নদী, উপ-নদী, খাল। সুতরাং আমরা যদি এগুলোকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলি, প্লাবন অঞ্চলকে ভরাট করে ফেলি, খালগুলোকে বেঁচে থাকতে না দেই তাহলে আমাদের বসতি হুমকির মুখে পড়বে। খালগুলো উদ্ধার না হলে নদী মৃত। হাত-পা না থাকলে মানুষ যেমন বেঁচে থাকবে না, তেমনই এই খালগুলো ছাড়া নদী মৃতপ্রায়। ঢাকার মানুষকে শুধু বিল্ডিং দিয়ে আর রাস্তা দিয়ে বাঁচানো যাবে না, যদি খাবার পানির জোগান না দেওয়া যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘নদীপাড়ের মানুষের সঙ্গে আলোচনা না করে যে ওয়াকওয়ে তৈরি করা হচ্ছে তাতে নদীপাড়ের মানুষের জীবন ও জীবিকা হুমকির সম্মুখীন। ওয়াকওয়ে তৈরির জন্য গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। উন্নয়ন করতে হবে পরিবেশ রক্ষা করে। নদীর সঙ্গে সম্পর্কিত মানুষের জীবন ও জীবিকা ধ্বংসকারী ওয়াকওয়ে অপসারণ করতে হবে।’
মানবন্ধনে অতিথি হিসাবে ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী, রিভার বাংলা সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ। এতে এলাকাবাসীর সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বুড়িগঙ্গা নদী মোর্চার অন্যতম সদস্য সংগঠন নিরাপদ চিকিৎসা চাই’র মহাসচিব উম্মে সালমা, বনলতা নারী উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান ইসরাত জাহান লতা, আমিনবাজার ঘাট শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এবং তুরাগ নদী মোর্চার নেতা আমজাদ আলী লাল, বুড়িগঙ্গা রিভারকিপারের ভলান্টিয়ার মাহির দাইয়ান প্রমুখ। এছাড়াও এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন– বছিলা পুরাতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মানিক হোসেন, জেলেপাড়া মন্দির কমিটির সভাপতি স্বপন রাজবংশী, জেলে নেতা গোপাল রাজবংশী এবং বুড়িগঙ্গার পাড়ে বসবাসকারী স্থানীয় অধিবাসী তাজুল ইসলাম।