বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারের ডে কেয়ার সেন্টারের দ্বিতীয় তলায় রাখা হয়েছে। একজন চিকিৎসক তার খোঁজখবর রাখছেন। কারা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কারা সূত্র জানায়, কারা চিকিৎসককে খালেদা জিয়া জানিয়েছেন- তিনি ভালো আছেন।
কারা সূত্রে আরও জানা যায়, খালেদা জিয়ার কক্ষে কোনও এসি নেই। তার জন্য কক্ষের টয়লেটে হাই কমোড যুক্ত রয়েছে। খালেদা জিয়ায় কক্ষে একটি টেলিভিশন দিয়ে জানানো হয়েছিল, এটিতে শুধু বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) দেখা যাবে। তখন খালেদা জিয়া জানিয়েছেন, তিনি বিটিভি দেখেন না। তাই টেলিভিশন সরিয়ে নিতে বলেছেন তিনি।
এদিকে সাধারণ বন্দিদের খাট দেওয়ার নিয়ম না থাকলেও খালেদা জিয়াকে খাট দেওয়া হয়েছে। তার কক্ষে চেয়ার-টেবিলও রয়েছে। এমনকি একাকিত্ব দূর করতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে চার জন নারী কারারক্ষী এবং একজন নার্স রয়েছেন।
খালেদা জিয়ার খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে জানা যায়, খালেদা জিয়া কারাগারে বেশি খাবার খান না। একবেলা খাবার খান। সকালে ১১টার পর নাস্তা করেন, বিকালে বা সন্ধ্যায় নাস্তা করেন, রাতে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ভাত খান। সকালের নাস্তায় রুটি ও সবজি, রাতে ভাত-মাছ খান খালেদা জিয়া। আর স্বজনদের দিয়ে যাওয়া ফলমূল খাচ্ছেন তিনি।
কারা সূত্রে জানা গেছে, কারাগারর শান্ত রয়েছেন খালেদা জিয়া। কারারক্ষীরা তাকে কিছু বললে তিনি তা শোনেন, বোঝেন। প্রথম দিকে তাকে কারাগারের একটি অফিস কক্ষে রাখা হয়েছিল। সেখানে অনেক লোকজনের আনাগোনা হয়। পরে তাকে দ্বিতীয় তলায় নেওয়া হয়।
পুরাতন কারাগারে খালেদা জিয়াকে রাখার ব্যাপারে কারা মহাপরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন বলেন, ‘খালেদা জিয়া কখনও অসুস্থ হয়ে গেলে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার সমস্যা হতে পারে, এই বিবেচনায় পুরাতন কারাগারে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি সিদ্ধান্ত অনুসারে এটি বিশেষ কারাগার। তাই এখানে রাখা হয়েছে। এই কারাগারকে সরকার এখন পর্যন্ত পরিত্যক্ত ঘোষণা করেনি, এটাকে এখনও কেন্দ্রীয় কারাগার হিসবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এছাড়াও তাকে কাশিমপুর মহিলা কারাগারে পাঠানো হলে, আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে তার শারীরিক সমস্যার কথাও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার বিষয়টিও বিবেচনায় আছে।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার ডিভিশনের আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে