টঙ্গীতে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত তিনজনেরই বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁওয়ের মশাখালী এলাকায়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনটির যাত্রী জামাল উদ্দিন। তার ভাই আমির উদ্দিন (৩৫) নিহত তিনজনের একজন বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
জামাল উদ্দিন জানান, ‘আমরা গফরগাঁওর মশাখালী থেকে সকাল ৯টার সময় ট্রেনটিতে উঠি। গরিব মানুষ বলে টিকিট কাটতে পারিনি। তাই দুই ভাই ছাদে উঠি। আমাদের সঙ্গে আরও ৮ জন ছিল। সবার মুখ চিনি কিন্তু নাম জানি না। অন্য যে দুজন মারা গেছেন তারাও আমাদের এলাকার ও এই ৮ জনের দলের মধ্যেই ছিলেন।’
তিনি জানান, ঢাকায় তারা রিকশা চালাতে আসছিলেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, হঠাৎ ট্রেনটা খুব ঝাঁকি খেতে থাকে। ভয় পেয়ে ওরা কয়েকজন লাফ দেয়। আমি ট্রেনের দরজার হাতল ধরে থাকি। তখন দেখতে পাই ওরা লাফ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওদের ওপরে পেছনের বগিটা উঠে যায়। সেটায় কাটা পড়ে যায় তারা। অনেকে ধাক্কা খায়।
জামাল উদ্দিন জানান, নিহত আমির উদ্দিনের স্ত্রী ও তিন ছেলে রয়েছে। ঢাকায় রিকশা চালাতে আসার আগে তিনি ফুলের তোড়া বানানোর কাজে ব্যবহার করা কামিনী ফুলগাছের পাতা সরবরাহের ব্যবসা করতেন। সে ব্যবসায় খুব একটা সুবিধা না হওয়ায় ঢাকায় আসছিলেন।
উল্লেখ্য, আজ রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টঙ্গী রেলস্টেশনে লাইনচ্যুত হয়ে তিনটি বগি দুর্ঘটনা কবলিত হয়। এ ঘটনায় ছাদ থেকে পড়ে তিন ব্যক্তি নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতদের টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার সরকারি হাসপাতাল, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: