তাদের কারও মা নেই। কেউবা পিতৃহারা। আবার কারও মা-বাবা কেউ নেই। এমন ২০০’র বেশি এতিম শিশু-কিশোর থাকে রাজধানীর আজিমপুরের স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানায়। প্রতিদিন তাদের জন্য ইফতার আসে বাইরে থেকে। এরপর সেগুলো মিলেমিশে বানিয়ে নেয় তারা।
কেউ ইফতারের টাকা পাঠান অথবা ইফতার পাঠিয়ে দেন। আবার কেউ দাওয়াত দিয়ে নির্দিষ্টসংখ্যক এতিমকে ইফতার করান।
যেদিন দাওয়াত বা উপহার কোনোটাই জোটে না, সেদিন এতিমখানা কর্তৃপক্ষের আয়োজনে ইফতার থাকে তাদের জন্য।
এতিমখানার এই শিশু-কিশোররা একসঙ্গে ইফতার ভাগ করে নেয়। প্রতিদিন রোজা শেষে দেখা যায় এই চিত্র।
স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, বিভিন্ন মানুষের অনুদান ও সহায়তায় শিশু-কিশোরদের জন্য ইফতার আয়োজন করতে পারছেন তারা।
পরিবারের সবার সঙ্গে ইফতারের সুযোগ নেই স্বজনবঞ্চিত এই শিশু-কিশোরদের। হাসিমুখে ইফতার করলেও কারও কারও চেহারায় ঠিকই ফুটে ওঠে মলিনতার ছাপ।
এই শিশুদের অনেকের স্মৃতিতে নেই মা-বাবার চেহারা। কারও আবার বাবা-মা থেকেও নেই।
এতিমখানাকেই আপন করে নিয়েছে এসব শিশু-কিশোর। রমজানে সমবয়সীদের সঙ্গে ইফতার ভাগাভাগি করেই খুশি তারা।
এতিমখানায় প্রতিদিন বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আসে ইফতার। কর্তৃপক্ষ জানায়, উন্নতমানের খাবার দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন তারা।
১৯০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই এতিমখানা। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ৬ থেকে ১৮ বছরের শিশুদের ভরণপোষণের পাশাপাশি পড়াশোনার সুযোগ দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
ছবি: লেখক
