নিজের চোখের অপারেশন দেশেই করতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘দেশের ডাক্তাররা সাইকোলজিক্যাল কারণে আমার চোখ অপারেশনের ঝুঁকি নিতে রাজি হননি। তাই বাধ্য হয়ে ব্রিটেনে এই চিকিৎসা নিতে হলো।’
বৃহস্পতিবার (৯ মে) লন্ডনের তাজ হোটেলে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্য শাখা ও দলের সহযোগী সংগঠনগুলো এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
এ সময় দেশের জন্য প্রবাসীদের ভূমিকার ইতিহাস স্মরণ করে প্রায় আধাঘণ্টা কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের সাম্প্রতিক রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন দুর্যোগ দুঃসময়ে ব্রিটেন প্রবাসীদের ভূমিকা ও তার সরকারের আমলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে ব্রিটেন প্রবাসী বাঙালিদের একটি আত্মার সম্পর্ক রয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার রাজনীতির জটিল সময়গুলোতে সব সময়ই প্রবাসীদের কাছ থেকে পেয়েছেন অকৃত্রিম সমর্থন। ’৭৫ পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দাবিতে এই ব্রিটেনেই প্রথম তৎপরতা শুরু হয়েছিল।’
প্রবাসীদের সমস্যা সম্ভাবনা সম্পর্কে সরকার সব সময়ই সচেতন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণের মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীতকরণ, সিলেট-লন্ডন বিমানের সরাসরি ফ্লাইট চালুসহ প্রবাসীদের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রজেক্ট বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে চলছে।’
প্রসঙ্গত, গত ১ মে ১০ দিনের সরকারি সফরে লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এই সফরে চোখের চিকিৎসা করানোর পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (১০ মে) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ভিভিআইপি ফ্লাইট নম্বর বিজি ২০২ যোগে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। শনিবার (১১ মে) সকাল ১০টা ২০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তার।
আরও খবর:
খুনি ও অর্থ-পাচারকারীদের ক্ষমা নাই : প্রধানমন্ত্রী
শনিবার দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী
