কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালায় (২০১৯) পদোন্নতির সুযোগ ৩০ শতাংশ বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ভূমি মাঠ প্রশাসন সরকারি কর্মচারী পদোন্নতি বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদ।
শনিবার (১৮ মে) রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ভূমি মাঠ প্রশাসন সরকারি কর্মচারী পদোন্নতি বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদের নেতারা বলেন, মাঠপর্যায়ে রাজস্ব প্রশাসনের সব জেলা প্রশাসক কার্যালয়, উপজেলা ভূমি অফিস, ইউনিয়ন, প্রসেস সার্ভার, চেইনম্যানসহ বিভিন্ন পদে সাড়ে ১২ হাজার কর্মচারী কাজ করছে। ২০০১ সালে নিয়োগবিধিতে উল্লিখিত পদে ২০ শতাংশ পদোন্নতির ব্যবস্থা রাখা হয়। কিন্তু এ প্রস্তাব নিয়োগবিধি-২০১৯-এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। সেখানে ১০০ শতাংশ সরাসরি নিয়োগ প্রস্তাব অনুমোদন দিয়ে ফিডার পদধারীদের পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
তারা আরও বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠপর্যায়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালায় (২০১৯) আশানুরূপ ফিডার পদধারীতে পদোন্নতির বিধান না রেখে ১০০ শতাংশ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ সাপেক্ষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
তারা দাবি জানিয়ে বলেন, সব মন্ত্রণালয় দফতর ও অধিদফতরে ফিডার পদে ২০ থেকে ৫০ শতাংশ পদোন্নতির বিধান আছে। তাদের মতো ভূমি মন্ত্রণালয়ে ফিডার পদধারীতে ৩০ শতাংশ পদোন্নতির বিধান রেখে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা (২০১৯) প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হোক।
বিষয়টি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইতোমধ্যে স্বারকলিপি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এ-সংক্রান্ত ৬টি রিট দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. আবু সায়েম ও মহব্বত হোসেনসহ সংগঠনটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে তারা একটি মানববন্ধন করে প্রেসক্লাবের সামনে।