রাজধানীর পুরান ঢাকার মিটফোর্ডে অভিযান চালিয়ে এক কোটি টাকা সমমূল্যের নকল ও বিক্রয় নিষিদ্ধ ওষুধ জব্দ করেছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ অভিযানে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতা করে। এ সময় তিন ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া, ১১টি ফার্মেসিতে অভিযান চালিয়ে মোট ২৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
র্যাব কর্মকর্তারা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলমের নেতৃত্বে র্যাব ১০-এর একটি দল এবং ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে মিটফোর্ডের মেডিসিন মার্কেটে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বাবুবাজার এলাকার আলী মিয়া চেয়ারম্যান প্লাজার দেশ ড্রাগ হাউজের মালিক খোরশেদ আলমকে দুই লাখ টাকা, সেবা মেডিক্যাল এজেন্সির মালিক সালাউদ্দিনকে দেড় লাখ টাকা; পাশের খান মেডিসিন মার্কেটের ফারাজ মেডিসিনের মালিক মাহবুবুল রশিদকে দেড় লাখ টাকা, এমডি কেমিক্যালসের মালিক পবিত্র দত্তকে ৭৫ হাজার টাকা; আলী মেডিসিন মার্কেটের মিতু কেমিক্যালসের মালিক যদু লাল দত্তকে দেড় লাখ টাকা; মিটফোর্ড টাওয়ারের নবাব মেডিক্যাল স্টোরের মালিক আরাফাতকে চার লাখ টাকা এবং মেসার্স মিলা ড্রাগ হাউজের মালিক জসিম উদ্দিনকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
র্যাব সূত্র জানায়, এর বাইরে বাবুবাজার এলাকার ৩৮/১ কাজী জিয়া উদ্দিন রোডের ওষুধ ব্যবসায়ী শাকিল মাহমুদকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার পাশাপাশি দুই বছরের কারাদণ্ড, সর্দার মার্কেটের ফার্মাভিউ ফার্মেসির মালিক পাবেল বর্মণকে এক বছরের কারাদণ্ড এবং মিটফোর্ড টাওয়ারের দ্বিতীয় তলার ২৪ নম্বর দোকানের মালিক হাবিবুর রহমানকে চার লাখ টাকা জরিমানা ও মোশারফ হোসেনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম বলেন, ‘এসব ফার্মেসিতে আসল ওষুধের পাশাপাশি তারা নকল ও বিক্রয় নিষিদ্ধ ওষুধ বিক্রি করতো। এসব ওষুধের কারণে মানুষের জীবনহানি হতে পারে। এজন্য অপরাধ স্বীকার করায় মাত্রা অনুযায়ী এগারো জনের জরিমানা ও কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।