নতুন সরকারি হওয়া মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মচারীদের আত্তীকরণে আসছে নতুন বিধিমালা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে বিধিমালার খসড়া চূড়ান্ত করেছে। এই বিধিমালা তৈরি করা হয়েছে ১৯৮৩ সালের বিধিমালাটির আদলে। এরআগে, পুরনো বিধিমালায় সরকারি হওয়া শুধু বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আত্তীকরণের সুযোগ ছিল। নতুন বিধিমালায় স্কুল অ্যান্ড কলেজও এর আওতায় নেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-১) নাজমুল হক খান বলেন, ‘খসড়া বিধিমালা প্রস্তুত করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছিল। কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে ফেরত পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আমরা মন্ত্রিপরিষদের পর্যবেক্ষণের আলোকে সংশোধন করে আবারও পাঠিয়েছি। এর আগে জনপ্রশাসন ও অর্থমন্ত্রণালয়ের অভিমত নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সুপারিশ পেলে বিধিমালাটির গেজেট জারি করা হবে।’
খসড়া বিধিমালায় গুরুত্বপূর্ণ কোনও বিষয় আসছে কিনা, জানতে চাইলে নাজমুল হক খান বলেন, ‘আগে স্কুল শিক্ষক-কর্মচারীদের আত্তীকরণের জন্য বিধিমালাটি তৈরি করা হয়েছিল। নতুন বিধিমালায় স্কুল অ্যান্ড কলেজ যোগ হয়েছে।’
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৩ সালের বিধিমালাটি বাতিল হয়ে গেছে। বর্তমানে ২০১০ সালের পরিপত্র অনুযায়ী শিক্ষক কর্মচারীদের আত্তীকরণ করা হচ্ছে। নতুন বিধিমালার নামকরণ করা হয়েছে ‘মাধ্যমিক/উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় (স্কুল অ্যান্ড কলেজ) শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা।’
নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগের শুরু থেকে আত্তীকরণ হওয়া পর্যন্ত চাকরির মোট বয়সের অর্ধেক ধরে সরকারি চাকরিতে অস্থায়ী নিয়োগ ধরা হবে। সরকারি হিসেবে আত্তীকরণে দুই বছর চাকরির ধারাবাহিকতা থাকতে হবে। সব যোগ্যতা ঠিক থাকলে স্কুল সরকারি হওয়ার দিন বয়স ৫২ বছরের বেশি না হলে নিয়োগ নিয়মিত করতে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সুপারিশ করতে পারবে।
প্রতিষ্ঠান বেসরকারি থাকার সময় নিয়োগের সিনিয়রিটি অনুযায়ী অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীদের সিনিয়রিটিও নির্ধারিত হবে। আত্তীরকরণ করা শিক্ষকরা পদোন্নতি পাবেন। এ ক্ষেত্রে পদভিত্তিক সিনিয়রিটি ও সরকার নির্ধারিত শর্তসাপেক্ষে পদোন্নতি দেওয়া হবে।