X
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
৫ বৈশাখ ১৪৩১

দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে সেমিনার

শেখ মুরাদ হোসেন, দক্ষিণ কোরিয়া
০৫ আগস্ট ২০১৯, ০২:৪১আপডেট : ০৫ আগস্ট ২০১৯, ০২:৪৫

দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশি ইপিএস সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির উপায় সন্ধানে সেমিনারে অংশগ্রহণকারীরা দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশি ইপিএস সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির উপায় সন্ধানে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৮ জুলাই দক্ষিণ কোরিয়ার আনসান শহরের অঙ্গোদ দোংয়ের বিদেশি আবাসিক সহায়তা কেন্দ্রের প্রধান হলে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। গোপালগঞ্জ অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ কোরিয়ার (জিএএসকে) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে সহায়তা করে কোরিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ও আলোচক ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম। তিনি বলেন,‘ইপিএস পদ্ধতির অন্তর্ভুক্ত অন্য দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে নিয়ম মেনে কাজে আসতে হবে। অতিরিক্ত প্রত্যাশা না করে, যে কোম্পানিতে কর্মীরা যোগ দেন সেটাতেই পুরো সময় কাজ করতে হবে।’ পাশাপাশি বাংলাদেশি সব ইপিএসকর্মীকে মালিকদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখারও অনুরোধ করেন তিনি।

বিশেষ আলোচক বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মকিমা বেগম বাংলাদেশি ইপিএসকর্মীদের কর্মদক্ষতাসহ বিভিন্ন গুণাগুণের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘বাংলাদেশি কর্মীরা যদি চুক্তির মেয়াদ পূর্ণ করার পাশাপাশি তুচ্ছ বিষয়ে মালিকদের বিরুদ্ধে শ্রম মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ না করে তবে কোরিয়ান মালিকদের সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব।’ 

সেমিনারে প্রথমেই জিএএসকের সাধারণ সম্পাদক এবং এই আয়োজনের সমন্বয়কারী ডেভিড ইকরাম সেমিনারটি আয়োজনের বিস্তারিত তুলে ধরেন। প্রথম পর্বে প্যানেল আলোচনায় মূল বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি শেখ মুরাদ হোসেন। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন– বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ আবদুল মতিন, রফিকুল ইসলাম ভুট্টো, মুন্সী রফিকুল ইসলামসহ সাবেক সিনিয়র ইপিএস সদস্য ও সদ্য ইপিএস সদস্য।

প্যানেল আলোচকসহ কোরিয়ায় বসবাসরত বিভিন্ন পেশার অভিজ্ঞ প্রবাসীরা উপস্থিত থেকে তাদের মূল্যবান পরামর্শ জানিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবাসী গবেষক ড. নাজমুল হুদা।

প্যানেল ডিসকাশনের প্রথম পর্বে ছিল সমস্যা অনুসন্ধান করা– কী কী কারণে বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের চেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পিছিয়ে আছে। দ্বিতীয় পর্বে ছিল সমস্যাসমূহ সমাধানের উপায় বা পদক্ষেপ কী হওয়া উচিত তা খুঁজে বের করা। তৃতীয় পর্বে ছিল, পদক্ষেপগুলো কীভাবে ফলপ্রসূভাবে কার্যকর করা যাবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্তে যাওয়া।

কারণ অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে রয়েছে– কিছু বাংলাদেশি ইপিএসকর্মী আছেন যাদের সঙ্গে কোরিয়ান মালিকরা কাজ করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না, বাংলাদেশি ইপিএসকর্মীদের আত্মসন্তুষ্টির অভাব, কোরিয়ান খাবারে অভ্যস্থ না থাকা, মানসিকতা পরিবর্তন প্রয়োজন, একের বিরুদ্ধে অন্যে কোরিয়ান মালিকদের কাছে অভিযোগ পেশ করা, কোরিয়ান মালিকদের বিশ্বাস অর্জনে ব্যর্থ হওয়া, কোম্পানি পরিবর্তন করার জন্য মিথ্যা অসুস্থতার ভান করা, পরিচ্ছন্নতার অভাব, কাজের দক্ষতা ও সহকর্মীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্কের অভাব ইত্যাদি।

সেমিনারে বিষয়গুলোর বিস্তারিত তুলে ধরেন– সিনিয়র ইপিএস সদস্য রবিউল ইসলাম, এমডি ডালিম, এমডি রাকিবুল আলম, মনোজ সুভাকর, রাকিবুল, সুমি,আমিনুল মোগল, মাসুদ, শেখ রিপন, শেখ ওমর, মিজান, খন্দকার রুবেল, নাজমুল হাসান, শাহজালাল, শাহিন, মাইনুর সুলতানসহ আরও অনেকে।

বাংলাদেশি ইপিএস নারী সদস্য ইশরাত জাহান এমা বলেন, ‘কোরিয়ান সংস্কৃতির সঙ্গে বাঙালি মেয়েদের খাপ খাওয়াতে কষ্ট হয়। বাংলাদেশি নারীকর্মীরা যদি নিজের সংস্কৃতি রেখে কোরিয়ান কালচারের সঙ্গে মিনিমাইস করতে পারে তবে এখানে বাংলাদেশি নারীকর্মীর চাহিদা বাড়তে পারে।’

বাংলাদেশ দূতাবাসের লেবার উইংসের শেখ নিজামুল হক বলেন, ‘মামলা-মকদ্দমার কারণে কোরিয়ান মালিকরা অনেক সময় খুব ঝামেলায় পড়ে যান। কারণ তারা সব সময় খুব ব্যস্ত থাকেন।’

সেমিনারের আয়োজক জিএসএসকে সভাপতি শেখ মুরাদ হোসেন বলেন, ‘অন্যান্য সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের ইপিএসকর্মীদের তুলনায় আরও একটু বেশি ত্যাগ, সততা, বিশ্বস্ততা, দক্ষতা, দায়িত্ববোধ দেখালে ওই দেশগুলোর জায়গায় বাংলাদেশি ইপিএসকর্মীরা এসে পূরণ করতে পারে।’

 

/এনসি/এমএএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
‘সামরিক বাহিনীতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আইন কর্মকর্তাদের পেশাগত মানোন্নয়ন জরুরি’
সামরিক বিচার ব্যবস্থা নিয়ে সেমিনারে বিমান বাহিনী প্রধান‘সামরিক বাহিনীতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আইন কর্মকর্তাদের পেশাগত মানোন্নয়ন জরুরি’
ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা, ২৮ কর্মীকে বহিষ্কার করলো গুগল
ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা, ২৮ কর্মীকে বহিষ্কার করলো গুগল
বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির জন্য বাড়ছে হাহাকার
বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির জন্য বাড়ছে হাহাকার
চট্টগ্রামে তিন ভাইবোনকে হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে তিন ভাইবোনকে হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
সর্বাধিক পঠিত
এএসপি বললেন ‌‘মদ নয়, রাতের খাবার খেতে গিয়েছিলাম’
রেস্তোরাঁয় ‘মদ না পেয়ে’ হামলার অভিযোগএএসপি বললেন ‌‘মদ নয়, রাতের খাবার খেতে গিয়েছিলাম’
মেট্রোরেল চলাচলে আসতে পারে নতুন সূচি
মেট্রোরেল চলাচলে আসতে পারে নতুন সূচি
‘আমি এএসপির বউ, মদ না দিলে রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেবো’ বলে হামলা, আহত ৫
‘আমি এএসপির বউ, মদ না দিলে রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেবো’ বলে হামলা, আহত ৫
রাজধানীকে ঝুঁকিমুক্ত করতে নতুন উদ্যোগ রাজউকের
রাজধানীকে ঝুঁকিমুক্ত করতে নতুন উদ্যোগ রাজউকের
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট