নওগাঁ থেকে ঢাকায় চালের ব্যবসা করেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. মোতাহারুল ইসলাম। ব্যবসার সূত্রে তার সঙ্গে পরিচয় হয় মশিউর রহমান নামের একজনের। নিজেকে স্বপ্ন ট্রেডিং এজেন্সির মালিক বলে জানান তিনি। দুজনের মধ্যে পরিচয়ের সূত্র ধরে মোতাহারুলকে একসঙ্গে ব্যবসা করার প্রস্তাব দেন মশিউর। লেনদেন শুরু হয়। লেনদেনের প্রথম চেকের তারিখ ছিল ২০১৮ সালের ১৪ জুন। ওইদিন চেকটি ডিজঅনার হওয়ায় চাল লেনদেন বন্ধ করে দেন মোতাহারুল। পরে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই অ্যাকাউন্টে কোনও টাকাই নেই। ততদিনে ৬৫ লাখ টাকা দেনা হয়ে গেছে মোতাহারুল ইসলামের। পরবর্তীতে তিনি মশিউরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে থানায় মামলা করেন। শুধু মোতাহারুল ইসলামের সঙ্গে নয়, গত ২৫ বছরে এভাবে প্রতারণা করে লাখ টাকার ভুয়া চেক দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন নিজেকে ব্যবসায়ী পরিচয়দানকারী মো. মশিউর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত দেড়টার দিকে সবুজবাগের মধ্য বাসাবো এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি-পূর্ব বিভাগের খিলগাঁও জোনাল টিম। গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে ৩ লাখ ৩৬ হাজার জাল টাকার নোট ও ৬ হাজার জাল মার্কিন ডলার উদ্ধার করা হয়।
অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহিদুর রহমান জানান, মশিউর রহমানকে দুই দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে অন্তত ৩০টি মামলা আমরা পেয়েছি। তিনি ২৫ বছর ধরে নিজেকে বিভিন্ন পেশার পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে আসছিলেন। আমরা একটি অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েকমাস ধরে গোয়েন্দা তৎপরতা চালানো পর তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।
মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলাগুলোর নথি থেকে জানা গেছে- তিনি ওয়ালটন, বসুন্ধরা, এলজি বাটারফ্লাইসহ বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তার বিরুদ্ধে অন্তত চারটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।