নিকেতনের বাসা (১১৩ নম্বর) ও জি কে বিল্ডার্স কার্যালয়ে (১৪৪ নম্বর) অভিযানের পর যুবলীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া (জি কে) শামীমকে র্যাব-১ এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ১৪ মিনিটে তাকে জি কে বিল্ডার্স কার্যালয় থেকে নিয়ে যান র্যাব সদস্যরা।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক ল্যাফটেনেন্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম ও র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, সকাল ৮টার দিকে শামীমকে নিকেতনের ১১৩ নম্বর বাসা থেকে আটক করে তার অফিসে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে তার অফিস থেকে ১৬৫ কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের (এফডিআর) কাগজ ও নগদ এক কোটি ৮০ লাখ টাকা জব্দ করা হয়। এছাড়া তার জিম্মা থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, দেহরক্ষীদের সাতটি শটগান-গুলি এবং কয়েক বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শামীমের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির অভিযোগ রয়েছে। আমরা সে সব তদন্ত করছি। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই তাকে আটক করা হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, জি কে শামীমের অফিসে ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআরের কাগজ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে শামীমের মায়ের নামে রয়েছে ১৪০ কোটি টাকার এফডিআর। তবে তার মায়ের নামে কোনও প্রতিষ্ঠান নেই। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো। আমাদের কাছে অভিযোগ রয়েছে, কিছু অবৈধ সোর্স থেকে তার এফডিআরের টাকাগুলো এসেছে। শামীমকে আদালতে এফডিআরগুলোর সোর্স বৈধ প্রমাণ করতে হবে।
জব্দ অস্ত্রের বিষয়ে তিনি বলেন, জব্দ অস্ত্রগুলো বৈধ। তবে অভিযোগ রয়েছে এগুলো অবৈধ কাজে ব্যবহার হতো। এ জন্যই আমরা সেগুলো জব্দ করেছি।