X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

নোট-গাইড ছাড়া চলেই না মাধ্যমিকের ৩৭ শতাংশ শিক্ষকের

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৪ অক্টোবর ২০১৯, ২১:১৩আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০১৯, ২২:৪৩

 

নোট-গাইড ছাড়া চলেই না মাধ্যমিকের ৩৭ শতাংশ শিক্ষকের দেশের মাধ্যমিক স্তরের ৩৭ দশমিক ১ শতাংশ শিক্ষক বাজার থেকে কেনা নোট-গাইড বইয়ের ওপর নির্ভরশীল। প্রশ্ন তৈরি করতে পারেন ৪৩ দশমিক ৭ শতাংশ শিক্ষক। আর ১৪ দশমিক ৪ ভাগ শিক্ষক সরাসরি শিক্ষক সমিতি বা খোলাবাজার থেকে প্রশ্নপত্র কিনে পরীক্ষা নেন। এছাড়া ১০ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষক নিজ প্রতিষ্ঠানের অন্য শিক্ষকদের দিয়ে প্রশ্ন তৈরি করান।  ‘গণসাক্ষরতা অভিযান’ পরিচালিত ‘এডুকেশন ওয়াচ’-এর এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই  চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

রবিবার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর এলজিইডি ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন এডুকেশন ওয়াচের মুখ্য গবেষক সমীর রঞ্জন নাথ। প্রতিবেদনে, শিক্ষা বিনিয়োগে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করতে পারেনি। শিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়েনি। ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে গত এক দশক ধরে শিক্ষায় বিনিয়োগ ডিজিডিপির ২ শতাংশের কাছাকাছি।

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত মাঠপর্যায়ের ৬০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের  ৩ হাজার শিক্ষকের ওপর  এই গবেষণা চালায়  ‘গণসাক্ষরতা অভিযান’।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৭ দশমিক ১ শতাংশ শিক্ষক গাইডবই ব্যবহার করেন। নারী শিক্ষক, চাকরির মেয়াদ কম, মুসলিম ও যারা বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন, তাদের অন্য শিক্ষকদের তুলনায় গাইডবই ব্যবহার করার সম্ভাবনা বেশি। শিক্ষক পরিবার থেকে আসা শিক্ষকরা গাইড বই কম ব্যবহার করলেও সাধারণ পরিবার থেকে আসা শিক্ষকদের মধ্যে নোট-গাইড বই ব্যবহারের প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বেশি।

এছাড়া, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ের জন্য মাধ্যমিকের সব শ্রেণিতেই গাইড বই ব্যবহার করেন শিক্ষকরা। নবম ও দশম শ্রেণিতে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও উচ্চতর গণিতের ক্ষেত্রে এবং মাদ্রাসার সব শ্রেণিতে আরবি বিষয়ে গাইড বই ব্যবহারের প্রবণতা বেশি বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার জন্য নানাভাবে প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, শিক্ষকদের ৪৩ দশমিক ৭ শতাংশ দাবি করেছেন, তারা নিজেরাই প্রশ্নপত্র তৈরি করেন। ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশ শিক্ষক বলেছেন, প্রশ্নপত্র কেনা হয় শিক্ষক সমিতি থেকে, ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ শিক্ষক খোলা বাজার থেকে প্রশ্নপত্র কেনার কথা জানিয়েছেন। আর ১০ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষক নিজ প্রতিষ্ঠানের অন্য শিক্ষকদের দিয়ে প্রশ্নপত্র তৈরি করার কথা বলেছেন।

নিজেরা প্রশ্নপত্র তৈরি করেছেন এমন শিক্ষকের হার সবচেয়ে বেশি সরকারি বিদ্যালয়ে। এর পরিমাণ ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। এছাড়া সরকারি বিদ্যালয় ও কলেজের ৫৩ দশমিক ৫ শতাংশ এবং বেসরকারি বিদ্যালয়ের ৪৪ দশমিক ৩ শতাংশ, উচ্চতর মাদ্রাসার ৪২ দশমিক ৮ শতাংশ এবং দাখিল মাদ্রাসার ৩৫ দশমিক ৮ শতাংশ শিক্ষক নিজেই প্রশ্নপত্র তৈরি করেন বলে প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুর হাসান চৌধুরী, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও  গণসাক্ষরতা অভিযানের চেয়ারপারসন রাশেদা কে. চৌধুরী, সংস্থাটির উপপরিচালক কে এম এনামুল হক প্রমুখ।

/এসএমএ/এমএনএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
পথের পাশের বাহারি শরবতে স্বাস্থ্যঝুঁকি কতটা?
পথের পাশের বাহারি শরবতে স্বাস্থ্যঝুঁকি কতটা?
মন্ত্রণালয়ে সভা করে ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রণালয়ে সভা করে ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
জোভানের নতজানু বার্তা: আমার ওপর কষ্ট রাখবেন না
জোভানের নতজানু বার্তা: আমার ওপর কষ্ট রাখবেন না
লাগাতার তাপদাহে যশোরে জনজীবন দুর্ভোগে
লাগাতার তাপদাহে যশোরে জনজীবন দুর্ভোগে
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ