যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয় থেকে র্যাব-১-এর কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকাল ৪টার দিকে তাকে র্যাব-১-এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান ভূঁঞা এই তথ্য জানিয়েছেন।
সম্রাটের বিরুদ্ধে রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে দায়ের করা দুটি মামলার তদন্তভার পেয়েছে র্যাব-১। বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাতে মামলা দুটি তদন্ত করার আদেশ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান ভূঁঞা। তিনি বলেন, ‘মামলা দুটি তদন্তের আদেশ পাওয়ার পর ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে ডিবি কার্যালয় থেকে র্যাব-১ এর কার্যালয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে। সন্ধ্যা নাগাদ তাকে নিয়ে আসা হতে পারে।’
গত ৭ অক্টোবর অস্ত্র আইনের মামলায় সম্রাটকে গ্রেফতার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন রমনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। একই দিনে মাদক আইনের মামলায় সম্রাটকে গ্রেফতার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন একই থানার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মাহফুজুল হক ভূঞা। ওই দিন (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরা শুনানির জন্য ৯ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
কিন্তু ৯ অক্টোবর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি থাকায় সম্রাটকে আদালতে হাজির করা হয়নি। ফলে বিচারক শুনানির জন্য ১৫ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। এদিন শুনানি শেষে মাদক ও অস্ত্র মামলায় তাকে মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। নতুন করে র্যাব-১ সম্রাটের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা দুটির তদন্ত ভার পাওয়ায় তাকে ডিবি কার্যালয়ে থেকে র্যাব-১ এর কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন স্পোর্টস ক্লাবের আড়ালে ক্যাসিনো ব্যবসা চালানোর অভিযোগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে অভিযান শুরু করে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় ওই দিনই গ্রেফতার করা হয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে। এর দুদিন পর গ্রেফতার করা হয় যুবলীগ নেতা জিকে শামীমকে। অভিযানের প্রথম দিন থেকেই আলোচনায় আসে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের নাম। গত ২৩ সেপ্টেম্বর অন্যদের সঙ্গে সম্রাটেরও দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ও ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়। গত ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে।