সৌদি সরকারের ‘নেশন উইদাউট ভায়োলেশন’ প্রোগ্রামের আওতায় চলমান ধরপাকড়ের মুখে গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দেশে ফিরেছেন প্রায় দেড় হাজারেরও বেশি কর্মী। এর মধ্যে বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাতে ফিরেছেন ২১৫ এবং বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাতে ফিরেছেন ৮৬ কর্মী। বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইনস এসভি-৮০৪ ফ্লাইটে সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরেন তারা। বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর মাসের দুই সপ্তাহে এক হাজার ৬৪৭ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।
ফিরে আসা কর্মীদের অভিযোগ,সৌদি আরবে বেশ কিছুদিন ধরে ধরপাকড়ের শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। সেই অভিযানে বাদ যাচ্ছেন না বৈধ আকামাধারীরাও (কাজের অনুমতিপত্র)। ফেরত আসা অনেক কর্মীর অভিযোগ— তারা কর্মস্থল থেকে আবাসিক রুমে ফেরার পথে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। সেসময় নিয়োগ কর্তাকে ফোন করা হলেও তারা দায়িত্ব নিচ্ছেন না। বরং আকামা থাকা সত্ত্বেও কর্মীদেরকে ডিপোর্টেশন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আবার দীর্ঘদিন অবৈধভাবে থাকার কারণেও অনেককে আটক করে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
ফিরে আসা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লিটন জানান, পাসপোর্টে প্রথম তিন মাসের ভিসার মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও শুন্য হাতে দেশে ফিরতে হয়েছে তাকে। লিটন মাত্র দেড় মাস আগে রিক্রুটিং এজেন্সি অ্যারোমা ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে গিয়েছিলেন সৌদি আরবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আরেক কর্মী দুলাল হোসেন জানান, চার লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ করে ছয় মাস আগে গিয়েছিলেন সৌদিতে। বাজার করতে যাওয়ার পথে পুলিশ ধরে এক কাপড়েই পাঠিয়ে দেয়।
সাত মাস আগে সৌদি আরবে যাওয়া নওগাঁর জুয়েলের অভিযোগ— আকামা থাকার পরও তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হলো।
/