X
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
৫ বৈশাখ ১৪৩১

সচেতন থাকলে শীতে নিপাহ-রোটা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সম্ভাবনা নেই

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৮ নভেম্বর ২০১৯, ২৩:৫১আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০১৯, ২৩:৫২





কর্মশালায় বক্তারা সচেতন থাকলে চলতি শীত মৌসুমে নিপাহ, রোটা ভাইরাস ও চিকেন পক্সের প্রাদুর্ভাবের কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে কমন কোল্ড বা সাধারণ ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা হতে পারে। তবে সেজন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ( আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) আইইডিসিআর কার্যালয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণ এবং অন্যান্য মৌসুমী রোগ নিয়ে অবহিতকরণ কর্মশালা’ শীর্ষক এক আয়োজনে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্মশালায় মৌসুমী রোগ বিষয়ে তিনটি পৃথক গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। এরমধ্যে এই সময়ের শ্বাসযন্ত্রজনিত জটিলতা বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার ডা. এএসএম আলমগীর, রোটা ভাইরাস বিষয়ক গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অফিসার সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার ডা. মনজুর হেসেন খান এবং নিপাহ ভাইরাস বিষয়ে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার ডা. শারমিন সুলতানা।
প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, আসন্ন শীত মৌসুমে রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়া এবং প্রাণঘাতী নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
তিনি জানান, রোটা ভাইরাস মূলত নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি এবং নিপাহ ডিসেম্বর থেকে মার্চে সংক্রমণ ঘটায় জানিয়ে তিনি বলেন, সাধারণত জনসমাগমস্থল, স্কুল, কলেজ, হোস্টেল বা এতিমখানার মতো স্থানে কারও রোটা ভাইরাস হলে সেটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে খাবার আগে হাত ভালোভাবে সাবান দিয়ে ধুয়ে নিলে এই ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব, এই রোগে মৃত্যুহার খুবই কম।
অধ্যাপক ডা. ফ্লোরা বলেন, বাংলাদেশে শীত মৌসুমে ইনফ্লুয়েঞ্জা হয় না, বরং এই সময়ে মূলত ‘কমন কোল্ড’ বা সাধারণ ঠাণ্ডা, সর্দি, কাশি হয়ে থাকে আর দুইশ’র বেশি ভাইরাসের মাধ্যেমে এসব রোগ ছড়ায়—যার মধ্যে ৭২ শতাংশই রাইনো ভাইরাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে। যা হাঁচি, কাশির মাধ্যমে একজন থেকে আরেকজনে ছড়ায়। শীত মৌসুমে কমন কোল্ডে ৩০ থেকে ৫০ ভাগ প্রাপ্তবয়স্করা এবং ৬০ থেকে ৮০ ভাগ শিশুরা আক্রান্ত হয়ে থাকে। করমর্দনের মাধ্যমে এ ভাইরাস সবচেয়ে বেশি ছড়ায়, তবে সচেতনতার মাধ্যমে এ রোগ থেকে নিরাপদ থাকা অনেকাংশে সম্ভব বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে, নিপাহ ভাইরাস বিষয়ক গবেষণা প্রবন্ধে সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার ডা. শারমিন সুলতানা জানান, বিগত ১৮ বছরে বাংলাদেশের ৩১টি জেলায় বিভিন্ন সময়ে নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা গেছে। এ রোগের লক্ষণ সাধারণত এনক্যাফালাইটিস এর মতো। বিশেষ করে জ্বর, মাথাব্যথা, খিঁচুনি, প্রলাপ বকা ইত্যাদি। স্তন্যপায়ী প্রাণী বাদুরের মাধ্যমে আমাদের দেশে এ রোগ ছড়িয়ে থাকে। বিশেষ করে বাদুরের মুখ নিসৃত লালা বা মূত্র মিশ্রিত কাঁচা খেজুর রস এবং বাদুরের খাওয়া ফল খেলে নিপাহ হতে পারে। নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুহার প্রায় ৭০ শতাংশ, তাই এই মৌসুমে কাঁচা খেজুর রস খাওয়া থেকে বিরত থেকে নিপাহ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

 

/জেএ/আইএ/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
রেকর্ড স্টোর ডে: এবারও বিশেষ আয়োজন
রেকর্ড স্টোর ডে: এবারও বিশেষ আয়োজন
পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন
পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায় চীন ও ইন্দোনেশিয়া
আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায় চীন ও ইন্দোনেশিয়া
সর্বাধিক পঠিত
এএসপি বললেন ‌‘মদ নয়, রাতের খাবার খেতে গিয়েছিলাম’
রেস্তোরাঁয় ‘মদ না পেয়ে’ হামলার অভিযোগএএসপি বললেন ‌‘মদ নয়, রাতের খাবার খেতে গিয়েছিলাম’
মেট্রোরেল চলাচলে আসতে পারে নতুন সূচি
মেট্রোরেল চলাচলে আসতে পারে নতুন সূচি
‘আমি এএসপির বউ, মদ না দিলে রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেবো’ বলে হামলা, আহত ৫
‘আমি এএসপির বউ, মদ না দিলে রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেবো’ বলে হামলা, আহত ৫
রাজধানীকে ঝুঁকিমুক্ত করতে নতুন উদ্যোগ রাজউকের
রাজধানীকে ঝুঁকিমুক্ত করতে নতুন উদ্যোগ রাজউকের
তৃতীয় ধাপে যেসব উপজেলায় ভোট
তৃতীয় ধাপে যেসব উপজেলায় ভোট