X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

রোকেয়া হলে ‘নিয়োগ বাণিজ্য’: সাত দিনের তদন্ত হয়নি তিন মাসেও

সিরাজুল ইসলাম রুবেল
২৯ নভেম্বর ২০১৯, ১৫:২৮আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০১৯, ১৫:৩৯




রোকেয়া হল (ছবি সংগৃহীত) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রোকেয়া হলে কর্মচারী নিয়োগে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ তদন্তে গঠিত কমিটি তিন মাসেও প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি। অভিযোগ তদন্ত করে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে গত ৫ সেপ্টেম্বর এ কমিটি গঠন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক ড. বেগম আকতার কামালকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের গঠিত এ কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. লিটন কুমার সাহা এবং সদস্য রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষক মনিরা বেগম।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দায়িত্ব পাওয়ার কিছু দিন পর শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে সরে যান আহ্বায়ক বেগম আকতার কামাল। পরে অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান শফিক-উজ-জামানকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়। তবে তিনিও অসুস্থতার কথা বলে দায়িত্ব থেকে সরে যান।

সর্বশেষ ২৫ নভেম্বর ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ ফারহাত আনোয়ারকে ওই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়। তদন্ত কমিটির একজন সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তবে, অধ্যাপক ড. সৈয়দ ফারহাত আনোয়ারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, ‘কে আহ্বায়ক হয়েছে, এটি খুবই কনফিডেন্সিয়াল বিষয়। আমি কিছুই বলতে পারবো না।’

হল সূত্রে জানা যায়, রোকেয়া হলে কর্মচারী নিয়োগের অনিয়মের অভিযোগ উঠলে প্রথমে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক জিনাত হুদা একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্তে অনিয়মের প্রমাণ পাননি তিনি। এরপর তিনি আট জনকে নিয়োগের জন্য নির্বাচন করেন।
তবে নিয়োগ সংশ্লিষ্ট আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে তিনটি অডিও রেকর্ড ফাঁস হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিয়োগ স্থগিত করে বিষয়টি তদন্তে কমিটি গঠন করে।

তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব এবং সহকারী প্রক্টর লিটন কুমার সাহা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কমিটির আহ্বায়ক না থাকায় আমরা কাজ এগোতে পারছি না। কারণ আহ্বায়ক ছাড়া তো কাজ করা সম্ভব না।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আগে দুই জনকে আহ্বায়ক করা হয়েছিল। তারা সরে যাওয়ায় কাজ করতে দেরি হয়ে গেছে।’ তবে দ্রুত তদন্ত কাজ শেষ করা হবে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত ২৫ জুলাই রোকেয়া হলে চারটি পদে কর্মচারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় হল কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তিতে অফিস সহায়ক পদে একজন, মালি পদে একজন, নিরাপত্তা প্রহরী পদে তিন জন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে তিন জনকে নিয়োগ দেওয়ার তথ্য জানানো হয়। ৩১ জুলাই ছিল আবেদনের শেষ দিন। ১ সেপ্টেম্বর এসব পদে আবেদনকারীদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে এ সময়ের মধ্যে তিনটি পদের বিপরীতে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ ওঠে। রোকেয়া হলের হল সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) ইসরাত জাহান তন্বী, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সায়মা আক্তার প্রমি ও হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও ডাকসুর কমনরুম ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক বি এম লিপি আক্তার, ওই হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী ইসলামের বিরুদ্ধে এ নিয়োগ-বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। নিরাপত্তা প্রহরী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে নিয়োগ দিতে তিন ব্যক্তির থেকে তাদের ২১ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ পেয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেন উপাচার্য।

 

আরও পড়ুন:
আলোচনায় ঢাবি রোকেয়া হলের নিয়োগ বাণিজ্য

 

/টিটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
এক কোরাল ৩৩ হাজার টাকায় বিক্রি
এক কোরাল ৩৩ হাজার টাকায় বিক্রি
মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ ডিসি ও এসপিদের
উপজেলা নির্বাচনমন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ ডিসি ও এসপিদের
জিম্মিদের মুক্তির জন্য হামাসকে ১৮ দেশের আহ্বান
জিম্মিদের মুক্তির জন্য হামাসকে ১৮ দেশের আহ্বান
অডিও ফাঁস, নারীর কাছে ডিবি পুলিশ সদস্যের ‘হেরোইন বিক্রি’
অডিও ফাঁস, নারীর কাছে ডিবি পুলিশ সদস্যের ‘হেরোইন বিক্রি’
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা