ভাষাসৈনিক রওশন আরা বাচ্চু আর নেই (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)। সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাত ৩টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা নারীদের মধ্যে তিনি অন্যতম ছিলেন।
মাকে সার্বক্ষণিক দেখভাল করতেন মেয়ে তাহমিদা বাচ্চু। তিনি জানান, সোমবার রাত ৩টার দিকে চিকিৎসকরা তার মাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রওশন আরার স্বজনরা জানিয়েছেন, শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে মরদেহ বিকাল সাড়ে তিনটার পর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে নেওয়া হবে।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় মেয়েদের যে মিছিলটি পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙেছিল, সেই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন রওশন আরা। সাহসিকতার জন্য তিনি সমাদৃত ছিলেন। নারী হিসেবে ভাষাসৈনিকের স্বীকৃতি না পাওয়ায় তার ক্ষোভও ছিল।
শেষ বিদায়ের আয়োজন
এই ভাষাসৈনিকের শেষ বিদায়ের আয়োজন করা হয়েছে বাংলা একাডেমিতে। একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে তার স্বজনদের কথা হয়েছে। শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বিকালে মরদেহ বাংলা একাডেমিতে আনার কথা রয়েছে।’
স্বজনরা জানিয়েছেন, একাডেমি থেকে মরদেহ রাজধানীর পশ্চিম মণিপুরের বাসায় নেওয়া হবে। সেখান থেকে জানাজা শেষে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে গ্রামের বাড়ি কুলাউড়ায়।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থানার উছলাপাড়া গ্রামে ১৯৩২ সালের ১৭ ডিসেম্বর রওশন আরা বাচ্চুর জন্ম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে অনার্স ও ইতিহাসে এমএ পাস করেন তিনি। ঢাকার বেশকিছু খ্যাতনামা স্কুলে তিনি শিক্ষকতা করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে, আজিমপুর গার্লস স্কুল, নজরুল একাডেমি, কাকলি হাই স্কুল।