X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘গণবদলি’, শিক্ষাপ্রশাসনে অসন্তোষ

এস এম আববাস
০৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ২০:৪৪আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ২১:২২





বদলির আদেশ একদিনে শিক্ষা ক্যাডারের ২০ জন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন স্থানে বদলি করা হয়েছে। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে এ বিষয়ে আলাদা আদেশ জারি করা হয়। এর এক আদেশেই বদলি হয়েছেন ১১ কর্মকর্তা। তবে এ ঘটনায় শিক্ষাপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা বদলির ঘটনাকে ‘গণবদলি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।





মন্ত্রণালয় ও মাউশির একাধিক কর্মকর্তা না প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘গণবদলি’র শিকার হয়েছেন অনেক সৎ কর্মকর্তা। অন্যদিকে, দুর্নীতির অভিযোগে যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে ও তদন্তে যাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে তাদের বদলি বা ওএসডি করা হয়নি।
তবে বদলি ও পদায়নের বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘এটি রুটিন ওয়ার্ক।’
অভিযোগ উঠেছে, আইসিটি ফেজ-২ প্রকল্পের দুর্নীতি ধরার কারণে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নানকে। ৯৬ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন তিনি। সম্প্রতি তিনি দুর্নীতির তদন্ত করে মাউশিতে প্রতিবেদনও জমা দেন। এরপর গণমাধ্যমে দুর্নীতির খবর প্রকাশ হওয়ায় তাকে বদলি করা হলো। এর আগে, আইসিটি ফেজ-২ প্রকল্পে দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে ওএসডি হয়েছেন জেনারেশন ব্রেক থ্রু নামের প্রকল্প পরিচালক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন।
মন্ত্রণালয় ও মাউশির একাধিক কর্মকর্তা জানান, সহকারী পরিচালক (কলেজ-১) এ কে এম মাসুদ সৎ কর্মকর্তাদের একজন ছিলেন। তাকেও রাখা হয়েছে বদলির তালিকায়। অথচ যেসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত হচ্ছে, কিংবা তদন্তে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে তাদের বদলি কিংবা ওএসডি করা হয়নি।
তালিকায় রয়েছেন সহকারী পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) জাকির হোসেন। সাধারণ প্রশাসন পরিচালনায় তার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ না থাকলেও মাত্র আট মাসের মাথায় তাকে বদলি করা হলো।
তালিকায় থাকা পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরের পরিদর্শক রূপক রায়ের বিরুদ্ধেও কোনও দুর্নীতির অভিযোগ নেই। দক্ষ অফিসার হিসেবেই তাকে মাত্র দুই মাস আগে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরে আনা হয়েছিল।
বদলির তালিকায় রয়েছেন সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের (সেসিপ) সহকারী পরিচালক লোকমান হোসেন। ছয় বছরের বেশি সময় ধরে প্রকল্পটি পরিচালনা করেন তিনি। সফলতার সঙ্গে প্রকল্প শেষ করায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরে তাকে রাখা হয়েছিল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মন্ত্রণালয় ও মাউশির একাধিক কর্মকর্তা বলেন, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নেই, তেমন কর্মকর্তাদের অনেকে রয়েছেন এই ‘গণবদলি’র তালিকায়। আর দুর্নীতিতে অভিযুক্তরা রয়েছেন বহাল তবিয়তে।
এদিকে, মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষাবিভাগের অধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নতুন এমপিও নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ থাকলেও ওই বিভাগের কাউকে অভিযুক্ত করা হয়নি। অন্যদিকে, অভিজ্ঞ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক) জাবেদ আহমেদকে সম্প্রতি বদলি করা হয় ভূমি মন্ত্রণালয়ে। এসব নিয়েই কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে।

বদলির আদেশ

 

/টিটি/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বাংলাদেশ ব্যাংকে সংবাদকর্মীদের প্রবেশে বাধা: উদ্বিগ্ন টিআইবি
বাংলাদেশ ব্যাংকে সংবাদকর্মীদের প্রবেশে বাধা: উদ্বিগ্ন টিআইবি
আপাতত গরমেই খেলতে হচ্ছে সাবিনা-সানজিদাদের
আপাতত গরমেই খেলতে হচ্ছে সাবিনা-সানজিদাদের
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অ্যাম্বাসেডর যুবরাজ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অ্যাম্বাসেডর যুবরাজ
সর্বাধিক পঠিত
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন