X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাবির কলা অনুষদের ভর্তি পুনঃনিরীক্ষণ পদ্ধতি নিয়ে পরীক্ষার্থীদের অসন্তোষ

সিরাজুল ইসলাম রুবেল
০৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ২০:২৪আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ২০:৩০





ঢাবির কলা ভবন (ছবি সংগৃহীত) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণ পদ্ধতি নিয়ে অভিযোগ জানাতে গিয়ে কর্মকর্তাদের অশোভন আচরণের শিকার হয়েছেন কয়েকজন পরীক্ষার্থী। বিষয়টি অনুষদের ডিন ও ভর্তি কমিটির সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেনকে জানালে তিনি এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। বরং পরীক্ষার্থীরা কেন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন, তা নিয়ে তিনি উষ্মা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি কোনও অভিযোগ থাকলে থানায় জানানোর কথা বলেন তিনি।








জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কলা অনুষদভুক্ত বি-ইউনিটের (মানবিক) ফলাফল প্রকাশের পর ওই ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য সুযোগ দেন। শিক্ষার্থীরা এক হাজার টাকা ফি দিয়ে ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদনের সুযোগ পান।

তবে কোনও রশিদ ছাড়া টাকা নেওয়া পদ্ধতি এবং ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণ পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আবেদনকারীরা। তারা বলছেন, অনুষদের কর্মকর্তারা এক হাজার টাকা হাতে জমা নিয়ে আবেদন ফরম দিচ্ছেন। কিন্তু, এর কোনও রশিদ দিচ্ছেন না। হ্যান্ডক্যাশে টাকা জমা নেওয়া এবং ফল পুনঃনিরীক্ষণ করা হয়েছে কিনা, তা যাচাই করার সুযোগ না দেওয়ায় পুরো পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এসব পরীক্ষার্থী।

কয়েকজন আবেদনকারী জানান, ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য এক হাজার টাকা দিয়ে আবেদন ফরম নেন তারা। পরে অনেককে এসএমএস পাঠিয়ে পুনঃনিরীক্ষণের ফলাফল জানানো হয়। তবে অনেক আবেদনকারী কোনও বার্তা পাননি। আবেদনের তিন দিন পরও কোনও বার্তা না পেয়ে তারা অনুষদে এসে পুনঃনিরীক্ষণের ফল জানতে আবেদনপত্র দেখতে চান।

তবে আবেদনপত্র না দেখিয়ে ডিন অফিসের কর্মকর্তা মিজান তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন বলে অভিযোগ করেন পরীক্ষার্থীরা।

ভুক্তভোগী নাদিম পাটোয়ারির অভিযোগ, ভর্তি পুনঃনিরীক্ষণের ফলাফল এসএমএসের মাধ্যমে জানানোর কথা। তবে তা না পাওয়ায় কলা অনুষদের অফিস কক্ষে এসে তাদের জানালে তারা বলে সবাইকে এসএমএস পাঠানো হয়েছে। তবে উত্তরে সন্তুষ্ট হতে না হয়ে কর্মকর্তা মিজানকে আবেদন ফরম দেখাতে বলেন তারা। কারণ ফলাফল যদি পুনঃনিরীক্ষণ করা হয়, তাহলে তা আবেদন ফরমে লেখা থাকবে। কিন্তু মিজান কোনোভাবেই আবেদন ফরম দেখাতে রাজি হননি।

নাদিম পাটোয়ারি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, পরে কলা অনুষদের কর্মকর্তা মিজান তার ব্যক্তিগত নম্বর থেকে একটি এসএমএস পাঠান। সেখানে বলা হয় আমাদের ফলাফল অপরিবর্তীত। এই বার্তা এবং অন্যান্য শিক্ষার্থীদের পাঠানো বার্তার মধ্যে অসামঞ্জস্যতা ছিল। অন্য শিক্ষার্থীদের ৮৮০৩৫৯০০০২৫৬২ নম্বর থেকে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও আমাদের কর্মকর্তা মিজানের ব্যক্তিগত নম্বর ০১৭৪৩৯৯৯৮২৫ থেকে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হয়। এতে ধারণা করছি আমাদের কোনও পুনঃনিরীক্ষণ হয়নি।

এ বিষয়ে কর্মকর্তা মিজানের কাছে জানতে চাইলে এসএমএস পাঠানো নম্বরটি নিজের বলে স্বীকার করেন তিনি। কেন তিনি এমন করলেন, সে বিষয়ে জানতে চাইলে অনুষদের ডিনের সঙ্গে কথা বলতে বলেন তিনি।

পরে কলা অনুষদের ডিন ও ভর্তি কমিটির সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে থানায় গিয়ে অভিযোগ করতে বলেন এবং শিক্ষার্থীরা কেন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন, তাই বিষয়টি নিয়ে কোনও কথা বলতে রাজি হননি তিনি।

/টিটি/
সম্পর্কিত
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুজিবনগর দিবস পালনের নির্দেশ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই ধাপে কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ পালনের নির্দেশ
টেস্ট পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত ফি নিলে ব্যবস্থা
সর্বশেষ খবর
পথের পাশের বাহারি শরবতে স্বাস্থ্যঝুঁকি কতটা?
পথের পাশের বাহারি শরবতে স্বাস্থ্যঝুঁকি কতটা?
মন্ত্রণালয়ে সভা করে ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রণালয়ে সভা করে ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
জোভানের নতজানু বার্তা: আমার ওপর কষ্ট রাখবেন না
জোভানের নতজানু বার্তা: আমার ওপর কষ্ট রাখবেন না
লাগাতার তাপদাহে যশোরে জনজীবন দুর্ভোগে
লাগাতার তাপদাহে যশোরে জনজীবন দুর্ভোগে
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ