X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

ড. অজয় রায় স্মরণে নাগরিক সভা

ঢাবি প্রতিনিধি
১৩ জানুয়ারি ২০২০, ০১:০১আপডেট : ১৩ জানুয়ারি ২০২০, ০৪:২৬

ড. অজয় রায় স্মরণে নাগরিক সভা

পদার্থবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. অজয় রায় একজন অনুকরণীয় মানুষ হিসেবে সবার হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন। তিনি ছিলেন মুক্তচিন্তা ও বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনের বাতিঘর। কোনও বিষয়ে পিছু হটতেন না, বিচলিত হতেন না। এমনকি ছেলে অভিজিৎ রায়কে হারানোর শোকে শারীরিকভাবে কাবু হলেও মানসিকভাবে তিনি ছিলেন নির্ভীক ও দৃঢ়চেতা। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের প্রায় সব গণতান্ত্রিক ও নাগরিক আন্দোলনে তিনি ছিলেন সামনের সারিতে। তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ হারিয়েছে একজন অভিভাবককে।

সোমবার (২ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে ‘অধ্যাপক অজয় রায় নাগরিক স্মরণসভা’র অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, ‘অজয় রায় ছিলেন গণজাগরণের মানুষ। তিনি সবসময়ই মার্কসবাদ ও সমাজতন্ত্রের সমর্থক ছিলেন। তিনি মনে করতেন শুধু সংবিধানে লিখলেই হবে না, সমাজতন্ত্রকে বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি সবসময়ই রাজনৈতিকভাবে সচেতন ছিলেন। যদিও তিনি কোনও সংগঠনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন না।’

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই স্মরণসভায় মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল বলেন, ‘অজয় রায় তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের দিক দিয়ে একজন অনন্য মানুষ হিসেবে আমাদের কাছে অধিষ্ঠিত থাকবেন। তিনি যা বিশ্বাস করতেন, তা বলতেন এবং সেই অনুসারে কাজ করতেন। তিনি স্বাপ্নিক ছিলেন, দার্শনিক ছিলেন। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক সব আন্দোলনে তার অসামান্য ভূমিকা আমাদের সবার জানা। দেশের একটি সংকটময় মুহূর্তে যখন একটি গোষ্ঠীর ওপর সাম্প্রদায়িক আক্রমণ চলছিল, সেসময় তিনি সাহসের সঙ্গে সাংগঠনিকভাবে তার প্রতিবাদ করেছেন। আমরা যদি তার দর্শন ছড়িয়ে দিতে পারি, তাহলেই তাকে যথার্থ স্মরণ করা হবে।’

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, ‘আজয় রায়ের সঙ্গে পরিচয়সূত্রে আমি বুঝেছি- তিনি সমাজের প্রতি, দেশের প্রতি ও রাষ্ট্রক্ষমতার প্রতি অভিমান পোষণ করেন। অভিমানটা অনেকটা এরকম ছিল- এদেশের মুক্তিসংগ্রামে যারা সত্যিকারের ভূমিকা রেখেছেন, দেশ স্বাধীনের পর তারা নেতৃত্বে আসতে পারেননি। যারা আপোষহীন, স্পষ্টবাদী, দৃঢ়, এক পা এগিয়ে দুই পা পিছায় না, তাদের রাষ্ট্র-বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব জায়গা থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছিল। তাই তিনি বড়দের প্রতি আস্থা রাখতে পারতেন না। তার বিশ্বাস ছিল- তরুণ প্রজন্মই পারবে সত্যিকারের পরিবর্তন আনতে।’

ডাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক (জিএস) মুশতাক হোসেন বলেন, ‘অজয় রায় সবসময়ই চেয়েছেন তরুণ প্রজন্মকে মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনস্ক করে তুলতে। তার বিশ্বাস ছিল তরুণ প্রজন্মকে পরিবর্তনের মাধ্যমেই সত্যিকারের পরিবর্তন সম্ভব।’

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক অজয় রায়কে স্মরণ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা আবৃত্তি করেন গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক অ্যাডভোকেট জীবনানন্দ জয়ন্ত।

স্মরণসভায় আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম, লেখক ও সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, অঙ্কুর প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী মেজবাহউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

/এএইচ/এনএস/
সম্পর্কিত
ধ্রুব এষ হাসপাতালে
কামরাঙ্গীরচর নাগরিক পরিষদের সঙ্গে মেয়র তাপসের মতবিনিময়
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
সর্বশেষ খবর
রেলক্রসিংয়ে রিকশায় ট্রেনের ধাক্কা, বাবার মৃত্যু মেয়ে হাসপাতালে
রেলক্রসিংয়ে রিকশায় ট্রেনের ধাক্কা, বাবার মৃত্যু মেয়ে হাসপাতালে
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পুরস্কার পেলেন কুবির চার শিক্ষার্থী
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পুরস্কার পেলেন কুবির চার শিক্ষার্থী
গরমে বেড়েছে অসুখ, ধারণক্ষমতার তিন গুণ বেশি রোগী হাসপাতালে
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগরমে বেড়েছে অসুখ, ধারণক্ষমতার তিন গুণ বেশি রোগী হাসপাতালে
টিভিতে আজকের খেলা (১৯ এপ্রিল, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (১৯ এপ্রিল, ২০২৪)
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন