ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮ থেকে অডিট কার্ড বা শূন্য ভোট প্রিন্টের মাধ্যমে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। রাজধানীর মোহামদপুর এলাকার কয়েকটি ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে সেখানে কেন্দ্রের ভেতরে নির্মাণাধীন ভবনেই করা হচ্ছে ভোট গ্রহণের কাজ। এসব ভবনে কাজ করতে গিয়ে নানা সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়েছে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের।
মোহাম্মদপুরের বেঙ্গল মিডিয়াম হাই স্কুলের পুরাতন ভবন একটি। এই ভবনের দুই তলায় একটি রুমে ভোট গ্রহণ চলছে। আর একটি রুমে প্রিজাইডিং অফিসার বসেন। এই স্কুলের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে নতুন ভবন। এই ভবনের সঙ্গে পুরাতন ভবনের দূরত্ব প্রায় এক হাত। নির্মাণাধীন এই ভবনের দরজা জানালা কিছুই নেই। বারান্দায় নেই দেয়াল। এখানে কয়েকটি কক্ষে বসানো হয়েছে ইভিএম মেশিন। দুই বিল্ডিংয়ের মাঝে চলাচলের জন্য রাখা হয়েছে স্কুলের হাই বেঞ্চ। এর ওপর পা রেখে এক বিল্ডিং থেকে আরেক বিল্ডিং যাচ্ছেন ভোটারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
নির্মাণাধীন ভবনে ভোট গ্রহণের মতো কাজে সমস্যা হয় কিনা জানতে চাইলে এই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. রেজাউর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এখানে অনেক সমস্যা। ধুলাবালি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করা খুব কঠিন। কিন্তু কিছু করার নেই। আমাদের আর কোনও উপায় নেই।’
নির্মাণাধীন ভবনে ভোট দিতে এসে অবাক হচ্ছেন ভোটাররা। তারা বলছে এরকম উন্মুক্ত অবস্থায় ধুলাবালির মধ্যে কীভাবে ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করা হয় এটা বোধগম্য না।
অন্যদিকে মোহাম্মদপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়েও নির্মাণাধীন ভবনে চলছে ভোটগ্রহণ। এই ভবনের পুরোটাই নারীদের জন্য রাখা হয়েছে। এখানে ৫টি কক্ষে ৯টি বুথ বসানো হয়েছে। কিন্তু কোনও কক্ষের দরজা জানালা নেই। ভবনটির দোতলায় ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ভোটের জন্য। আর ভবনে প্রবেশের মুখে উচ্চতা কমানোর জন্য রাখা হয়েছে বালির বস্তা।
এই প্রসঙ্গে এই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার হুমায়ুন কবির মজুমদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এখানে বসার মতোও কিছুর ব্যবস্থা ছিল না। আমাকে অন্য বিল্ডিং থেকে চেয়ার টেবিল এনে এখানে ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করতে হয়েছে। এখানে লেবার দিয়ে কাজ করতে হয়েছে। এর জন্য তো নির্বাচন কমিশন আলাদা কোনও ব্যবস্থা করেনি।’
প্রসঙ্গত, এবারই প্রথম ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের সব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হচ্ছে ইভিএমে। দুই সিটিতে ভোটগ্রহণের জন্য ২৮ হাজার ৮৭৮টি ইভিএম প্রস্তুত করা হয়েছে। ঢাকা উত্তরে ১৫ হাজার ৭০০টি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৩ হাজার ১৭৮টি ইভিএম মেশিন থাকবে। এ নির্বাচনে দুই সিটিতে ২ হাজার ৪৬৮টি কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন ৫৪ লাখ ৬৩ হাজার ৪৬৭ জন ভোটার।
আরও পড়ন-
ভোটার উপস্থিতি কম, কিছু কেন্দ্রে বাধার অভিযোগ
১৪টি অভিযোগ পেয়েছি: উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তা
তাপসকে ভোট দিলেন প্রধানমন্ত্রী
আশা করি ঢাকাবাসী নিরাশ করবে না: তাপস