X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিআরটিসির নতুন আইনে যা আছে

উদিসা ইসলাম
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২২:৫৬আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২২:৫৮





 হরতাল, পরিবহন ধর্মঘট, প্রাকৃতিক দূর্যোগ, রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে বিশেষ সেবাদানের কথা উল্লেখ করে পাস হয়েছে ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন বিল-২০২০’ । সেবার মান বাড়াতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) নানাবিধ গবেষণাসহ বেশকিছু উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করে আসা ব্যক্তিরা। তারা বলছেন, সেবার মান নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে মানে, জবাবদিহিতার জায়গা তৈরি হচ্ছে।





গত নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে চালক ও পথচারী উভয়ের জন্য কঠোর বিধান যুক্ত করে কার্যকর করা হয়, ‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮’। তবে নতুন বিআরটিসি আইন কার্যকর করতে এই সড়ক পরিবহন আইন বাধা সৃষ্টি করবে না বলে আইনেই উল্লেখ আছে।
আইনের ২২ ধারায় যাত্রী ও পণ্যবাহী মোটরযান পরিচালনার ক্ষমতা বিষয়ে বলতে গিয়ে বলা হয়েছে, সড়ক পরিবহন আইন -২০১৮ এ যা কিছুই থাকুক না কেন, বিআরটিসি জনস্বার্থে সারা বাংলাদেশের যে কোনও রুটে যাত্রী ও পণ্যবাহী মোটরযান পরিচালনা করতে পারবে। জনস্বার্থে গণপরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সেবাও পরিচালনা করতে পারবে।
কেন নতুন করে আইন প্রণয়ন দরকার হলো বলতে গিয়ে আইনের উদ্দেশ্য অংশে বলা আছে, যেহেতু ২০১৩ সালের ৭ নম্বর আইন দ্বারা উল্লেখজনক অধ্যাদেশগুলোর মধ্যে কিছু অধ্যাদেশ কার্যকর রাখা হয়েছে এবং যেহেতু ওই অধ্যাদেশগুলোর আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করে কিছু আবশ্যক বলে বিবেচিত হয়, ফলে সব স্টেকহোল্ডার ও সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত নিয়ে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন জরুরি হওয়ায় সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে বাংলায় নতুন আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
এরই প্রেক্ষিতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ একটি খসড়া প্রণয়ন করে যা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন আইন-২০২০ আকারে ২০১৮ সালের ৬ নভেম্বর মন্ত্রিসভা বৈঠকে নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়। নীতিগতভাবে অনুমোদিত খসড়াটি গতবছর ৭মে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ ভেটিং প্রদান করে। এরপর ২ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভা বৈঠকের আলোচনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ সাপেক্ষে বিলটি চূড়ান্ত অনুমোদিত হয়।
আইনে জনস্বার্থে নিরাপদ সড়ক পরিবহন সেবা ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে সারাদেশের যে কোনও রুটে যাত্রী ও পণ্যবাহী মোটরযান পরিচালনা এবং আন্তঃরাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক যাত্রী ও পণ্য পরিবহন সেবা প্রদানের বিধান রাখা হয়েছে।
করপোরেশন চাইলে সরকারের অনুমোদন নিয়ে বাংলাদেশের যে কোনও স্থানে এবং বিদেশে তার অধঃস্তন অফিস বা ইউনিট, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, মেরামত কারখানা বা ডিপো স্থাপন করার বিধান আইনে আছে। মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করে বাণিজ্যিকভাবে পরিচালনা লাভজনক নয় এমন বাস বা ট্রাক দীর্ঘমেয়াদে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে ইজারায় পরিচালনা করার বিধানও রাখা আছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক-এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার মনে করেন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আইনের পরিবর্তন খুব জরুরি। এর বাস্তবায়নও নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, সড়ক পরিবহন করপোরেশনকে যদি শক্তিশালী করা যায় তাহলে অনেক ক্ষেত্রেই জনগণ ভালো ফল পাবে এবং গণপরিবহন নিয়ে স্বার্থান্বেষী মানুষ যে দৌরাত্ম্য দেখায় সেটা কমে আসবে।

/এমআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে: সতর্ক ম্যাক্রোঁর
ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে: সতর্ক ম্যাক্রোঁর
রবিবার থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে, শনিবারও ক্লাস চলবে
রবিবার থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে, শনিবারও ক্লাস চলবে
অবৈধ ব্যবহারকারীদের ধরতে বাড়ি বাড়ি যাবে তিতাস
অবৈধ ব্যবহারকারীদের ধরতে বাড়ি বাড়ি যাবে তিতাস
ছক্কায় মুশফিকের ‘আউট’ নিয়ে যা বললেন রনি
ছক্কায় মুশফিকের ‘আউট’ নিয়ে যা বললেন রনি
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা