X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা উত্তর সিটিতে গতিশীল হয়নি এলইডি বাতি প্রকল্প, দায় কার?

শাহেদ শফিক
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৯:০২আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২৩:৪০

ঢাকা উত্তর সিটিতে গতিশীল হয়নি এলইডি বাতি প্রকল্প, দায় কার? ঢাকা শহরকে আলোকোজ্জ্বল করে তুলতে দুই সিটি মেয়রের দাবি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিয়েছিল সরকার। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) থেকে পাওয়া সেই বরাদ্দে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে এলইডি (লাইট ইমিটিং ডায়োড) বাতি লাগলেও উত্তর সিটি করপোরেশনে এই প্রকল্পটি এখনও ধুঁকছে। উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রথম মেয়র আনিসুল হক প্রথম এর প্রয়োজনীয়তা উপস্থাপন করলেও তার মৃত্যুর পর প্রকল্পটি আর গতিশীল হয়নি। সঙ্গত কারণে প্রশ্ন উঠছে, ঢাকা উত্তর সিটিতে এখনও এলইডি বাতি লাগাতে না পারার দায় কার?

২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঢাকা শহরকে আধুনিক ও ঝকঝকে বাসযোগ্য শহর হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি ছিল সব মেয়র প্রার্থীর। এই প্রতিশ্রুতি দেওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিলেন ঢাকা উত্তরে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত ও পরে নির্বাচিত মেয়র প্রার্থী আনিসুল হক। সবুজ ও আধুনিক ঢাকা গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি ছিলেন শহরবাসীর মনোযোগের কেন্দ্রে। গণমাধ্যমের পরিচিত মুখ এবং ব্যবসায়ী সমিতির বড় নেতা হওয়ায় তার প্রতিশ্রুতিকে আমলে নিয়েছিলেন উত্তর সিটিবাসী। নির্বাচিত হওয়ার পর ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকনসহ বিষয়টি সরকারের কাছে যোগ্যভাবে উপস্থাপনে সক্ষম হন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এর গুরুত্ব অনুভব করায় এবং তাদের প্রস্তাব বিবেচনায় নেওয়ায় একনেকে এজন্য বরাদ্দ পায় দুই সিটি করপোরেশন।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ডিএনসিসি এলাকার জন্য সৌন্দর্যবর্ধনের প্রকল্পটি একনেকে পাস হয়। ৪৪২ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ের ওই প্রকল্পের আওতায় পাঁচ হাজার সিসি ক্যামেরা ও ৩৯ হাজার ৬০০ এলইডি বাতি লাগানোর কথা ছিল। প্রকল্পে সরকারি (জিওবি) তহবিল থেকে ৩৫৪ কোটি ও ডিএনসিসি থেকে ৮৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকার জোগান দেওয়ার কথা। বাকি ৯৫৪ কোটি টাকা আসার কথা বিশ্বব্যাংক ও আইডিবি থেকে। ওই বছরের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়। প্রকল্পে প্রতিটি বাতির দাম ধরা হয়েছিল ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা।

কিন্তু ডিএনসিসি’র তৎকালীন মেয়র আনিসুল হক উন্নত প্রযুক্তির বাতি আমদানির জন্য কিছুটা সময় নেন। আধুনিক বাতির খোঁজ খবর নিয়ে জার্মানি থেকে এজন্য বাতি আনার প্রক্রিয়া শুরু করেন তিনি। তবে এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হওয়ার আগেই গুরুতর অসুস্থ হন তিনি। ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর তার মৃত্যুর পর ডিএনসিসির মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করেন প্যানেল মেয়র ওসমান গণি। সে সময়ে এ প্রকল্পের কাজের গতি একেবারেই স্তিমিত হয়ে পড়ে। এক বছর পরে প্যানেল মেয়র ওসমান গনিরও মৃত্যু হলে মেয়রের দায়িত্ব পান আরেক প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা।

ঢাকা উত্তর সিটিতে গতিশীল হয়নি এলইডি বাতি প্রকল্প, দায় কার?

জানা গেছে,প্রকল্পটি পাস হওয়ার মাত্র এক মাসের মাথায় ২০১৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ৫ হাজার সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন সংশ্লিষ্ট কম্পোনেন্টটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তখন বলা হয়েছে, প্রকল্পে সিসি ক্যামেরার যে কম্পোনেন্টটি রয়েছে সেই একই ধরনের প্রকল্প পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে। এরপর ২০১৮ সালের ১ এপ্রিল প্রজেক্ট স্টিয়ারিং কমিটির সভায় সিসিটিভি সংশ্লিষ্ট কম্পোনেন্টটি বাদ দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ পরিবর্তনের জন্য ক্রয়সংক্রান্ত কেবিনেট কমিটি (সিসিজিপি) বা অর্থনৈতিক বিষয়ক কেবিনেট কমিটির (সিসিইএ) অনুমোদন নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত পেতেই দীর্ঘদিন সময় লেগে যায়।

ফলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে এই প্রকল্পটি দ্রুতগতিতে এগুতে থাকলেও প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিতে পারেনি উত্তর সিটি। সেখানে চীন থেকে এলইডি বাতি কিনে দ্রুত লাগানোর কাজ চলে। আর উত্তরে প্রকল্পের বাতি কেনা ও সিসি ক্যামেরা বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েই সময় পেরিয়ে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের মেয়াদই শেষ হয়ে যায়। এর ফলে যেখানে প্রকল্পের টাকায় ৪০ হাজার বাতি লাগানোর কথা সেখানে লাগানো সম্ভব হয়েছে মাত্র ৩ হাজার ৩৪৩টি বাতি। তবে প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২১ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে। তবে এ বিষয়ে এখনও সরকারের সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি।

ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে,বাতিগুলো বারিধারা, গুলশান ও বনানীর প্রধান প্রধান সড়ক; প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সামনের সড়ক ও মানিক মিয়া এভিনিউতে লাগানো হয়েছে।

ডিএনসিসি সূত্রে আরও জানা গেছে, সংস্থাটি যে বাতিগুলো কিনেছে তারমধ্যে ১৫০ ওয়াটের প্রতি সেট বাতি আনা হয়েছে ৪৭ হাজার টাকায় ও ১২০ ওয়াটের বাতির সেটের দাম পড়েছে ৪৩ হাজার টাকা। এসব বাতির গ্যারান্টি ১০ বছরের। এ সময়ের মধ্যে বাতি নষ্ট হয়ে গেলে বা সেটের কোনও যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে গেলে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সেটির দায়িত্ব নেবে।

আর  খরচের তুলনামূলক হিসেবে দেখা গেছে,ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ১৫০ ওয়াটের বাতি কিনেছে ৫৬ হাজার ৮৯৪ টাকায়। আর ১২০ ওয়াটের বাতি কিনেছে ৪৮ হাজার ৩৯০ টাকায়। এ ছাড়া ৮০ ওয়াটের এলইডি বাতি কিনেছে ৪৩ হাজার ৪৯০ টাকায়। এসব বাতির গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে ৫০ হাজার ঘণ্টা (প্রায় ৫ বছর ৮ মাস)।

তবে ডিএসসিসির বাতির সেট মেলাতে আনুষাঙ্গিক আরও ৩০টি আইটেম কিনতে হয়েছে। এর মধ্যে পোল, ব্রাকেট, বিভিন্ন ধরনের ক্যাবল, রিমোট টার্মিনাল ইউনিট (আরটিইউ), ডাটা কনসেনট্রেটর ইউনিট (ডিসিইউ), স্মার্ট অ্যানার্জি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়ার, সার্কিট ব্রেকার, ম্যাগনেটিক কন্ট্রোক্টর, ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার রয়েছে। সব মিলিয়ে সড়কে একটি বাতির পেছনে খরচ হয়েছে ৬৪ হাজার ৮৫৪ টাকা।

জানতে চাইলে ডিএসসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশে এই প্রথম দক্ষিণ সিটি করপোরেশন তার সড়কে এলইডি বাতি লাগিয়েছে। আমরা অনুমোদিত প্রকল্প অনুযায়ী নির্ধারিত সময়েই প্রকল্পের সব কাজ শেষ করেছি। কোনও গাফিলতি করা হয়নি। আমাদের বাতিগুলো যে কোনও স্থান থেকে সফটওয়ারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, বাতি নিয়ন্ত্রণের জন্য অত্যাধুনিক পাওয়ার লাইট কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। রাত্রিকালে প্রয়োজন অনুপাতে আলোর নিয়ন্ত্রণ করা যায়। প্রতিদিন সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় অনুসারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিগুলো জ্বলে বা নেভে। কোথাও কোনও বাতি নষ্ট হলে কন্ট্রোল রুম বা মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে জানা যায়। বাতিগুলো দেশের আবহাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ডিজাইন করা হয়েছে।

ঢাকা উত্তর সিটিতে গতিশীল হয়নি এলইডি বাতি প্রকল্প, দায় কার? ডিএনসিসি সূত্র বলছে, সংস্থাটির এলইডি প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২১ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করা হলেও বাজেটসহ অন্য সবকিছু আগের মতোই রয়েছে। এদিকে, প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো শুধু নয় বাড়তি বরাদ্দও দাবি করেছে ডিএনসিসি। সংস্থাটি জানিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে বাজেটসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম কিছুটা বেড়েছে। ফলে সব মান ঠিক রেখে পুরনো দামে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠান পাওয়া যাচ্ছে না। এতে বর্ধিত মেয়াদেও প্রকল্পের কাজ শেষ করা যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

প্রকল্প পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত একটি সূত্র জানায়,প্রকল্পটির আওতায় যেসব বাতি লাগানোর কথা সেগুলো কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণযোগ্য। কন্ট্রোল রুমে থেকে এর আলো বাড়ানো এবং কমানো সম্ভব। এগুলো বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও স্বাস্থ্যসম্মত। সে লক্ষ্যে রেডিও ফ্রিকুয়েন্সি বেইজড কমিউনিকেশন পদ্ধতির আওতায় এসব বাতি স্থাপনের উদ্যোগ নেন তদানীন্তন মেয়র আনিসুল হক। একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র সাঈদ খোকনও।

তবে অভিযোগ পাওয়া গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণাধীন এমন ৪২ হাজার বাতি লাগানো হলেও উত্তরে আনিসুল হকের মৃত্যুর পর প্রয়াত মেয়রের সেই নির্দেশনা থেকে সরে আসে সিটি করপোরেশন। প্রকল্পটির অধীনে এরপর লাগানোর সিদ্ধান্ত হয় বেশি বিদ্যুৎ ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচের এবং দুর্বল যোগাযোগ পদ্ধতির বাতি। কেবিনেট বেইজড পাওয়ার লাইন কমিউনিকেশন পদ্ধতির এমন ৩ হাজার ৩৪৩টি এলইডি বাতি স্থাপন করেছে ডিএনসিসি। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হলে একই পদ্ধতিতে বাকি সাড়ে ৩৬ হাজার বাতিও স্থাপন করতে চান প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। উপনির্বাচনে মেয়র পদে আতিকুল ইসলাম নির্বাচিত হওয়ার আগেই ঘটে যায় এসব ঘটনা।  

ডিএনসিসির একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, এরপর উপনির্বাচনে জয়ী মেয়র আতিকুল ইসলাম এলইডি বাতির মান নিয়ে কিছু প্রশ্ন তোলেন। ফলে তার সঙ্গে ডিএনসিসির কর্মকর্তাদের কিছুটা মতপার্থক্যও তৈরি হয়। আতিকুলের নির্দেশ ছিল,বরাদ্দ দেওয়া বাজেটের মধ্যে আরও ভালো মানের বাতি আনার, তবে এ বিষয়ে তাকে যেসব নমুনা দেখানো হয় তাতে তিনি সন্তুষ্ট হতে পারেননি। আর এসব কারণেই প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানোর কাজটি গতি পায়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কেউ কথা বলতে রাজি হননি।

এদিকে ঢাকা দক্ষিণের সড়কগুলো আলোকোজ্জ্বল থাকলেও উত্তরের সড়কগুলোর কোথাও অন্ধকার, কোথাও ম্রিয়মান ঝাপসা আলো থাকায় ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয় নাগরিকদের। মিরপুর ১০ নম্বর এলাকার বাসিন্দা শেখ কামাল হোসেন বলেন, ‘‘আমি দক্ষিণ সিটি এলাকায় চাকরি করি। অফিস শেষ করে রাতে বাসায় ফিরি। কিন্তু যতক্ষণ দক্ষিণের অংশে থাকি ততক্ষণ খুব সুন্দর লাগে। আর বাসার গলিতে এলে পাই ঘুঁটঘুটে অন্ধকার। ছিনতাই চাঁদাবাজদের ভয় থাকে। ডিএনসিসি এখনও আমাদেরকে এলইডি বাতির আলো দেখাতে পারলো না। গত চার বছর ধরে শুধু ‘মুলা’ ঝুলিয়ে রেখেছে।’’

ঢাকা উত্তর সিটিতে গতিশীল হয়নি এলইডি বাতি প্রকল্প, দায় কার? সরেজমিন দেখা গেছে, কুড়িল বিশ্বরোড থেকে ৩শ’ ফুট সড়ক ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার পুরো সড়কটিই অন্ধকারে নিমজ্জিত। এলইডি বাতি তো স্থাপনই হয়নি, এই সড়কে কোনও সাধারণ বাতিও নেই। ঢাকা উত্তর সিটির বেশিরভাগ সড়কেই বাতি নিয়ে এমন দুরবস্থা দেখা যায়।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে ডিএনসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও এলইডি প্রকল্পের পরিচালক রফিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, প্রকল্পটির প্রথম মেয়াদে আমরা তিন হাজার ৩৪৩টি বাতি লাগিয়েছি। কাজ শেষ না হওয়ায় প্রকল্পটি দ্বিতীয় মেয়াদে বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে। এটি বর্তমানে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রকল্পের বাকি তিনটি প্যাকেজের টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চারটি প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে ৩২০ কোটি ব্যয়ে এলইডি প্যাকেজ, ৩০ লাখ ৭৮ হাজার টাকার মটরসাইকেল ক্রয়, ৮৯ লাখ টাকার ইকুইপমেন্ট ক্রয় ও সাড়ে ৬ কোটি টাকার ডাবল কেবিনের পিকআপ ক্রয়।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমে আমরা যে বাতিগুলো লাগিয়েছি সেগুলো জার্মানি থেকে আনা হয়েছে। বাকি বাতিগুলো আমরা ইউরোপ বা আমেরিকা থেকে কেনার চেষ্টা করছি। তবে আমরা চীনের তৈরি কোনও বাতি লাগাবো না। এজন্য ডিপিএম মেথডে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বাতিগুলো কেনা হবে।’

প্রকল্প পরিচালক আরও বলেন, প্রকল্পটি থেকে সিটি ক্যামেরার কম্পোনেন্ট বাদ দেওয়ার পর পুরো প্রকল্প রিভিশন করতে আমাদের সময় লেগেছে। এ কারণে প্রকল্পের কাজ বিলম্বিত হয়েছে। যখন প্রকল্পটি অনুমোদন পেয়েছিল তখনকার জিনিসপত্রের দাম আর এখনকার জিনিসপত্রের দাম এক নয়। ঠিকাদারেরও অনেক লোকসান হয়েছে। এর পরেও আমরা টাকা সাশ্রয় করে উন্নত মডেলের বাতি দিয়ে নগরকে সাজাতে চাই। আমাদের বাতিগুলো হবে খুবই উন্নতমানের। প্রতিটি বাতির ১০ বছর গ্যারান্টি থাকবে। আশাকরি নির্ধারিত সময়ে আমরা এর কাজ শেষ করতে পারবো।


প্রকল্পটি সম্পর্কে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, অল্প সময়ের মধ্যেই প্রকল্পটি অনুমোদন পাবে। ২০২১ সালের মধ্যে দক্ষিণ ঢাকার মতো উত্তর ঢাকাও আলোকিত হয়ে যাবে।

জানতে চাইলে তৎকালীন প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা বলেন, আমাদের হাতে বড় ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনও ক্ষমতা ছিল না। সে কারণে এলইডি বাতির মতো প্রকল্প অনুমোদনের কাজ আমরা করতে পারিনি।

 

 

/এমআর/ টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জাপানি ছবির দৃশ্য নিয়ে কানের অফিসিয়াল পোস্টার
কান উৎসব ২০২৪জাপানি ছবির দৃশ্য নিয়ে কানের অফিসিয়াল পোস্টার
ড্যান্ডি সেবন থেকে পথশিশুদের বাঁচাবে কারা?
ড্যান্ডি সেবন থেকে পথশিশুদের বাঁচাবে কারা?
লখনউর কাছে হারলো চেন্নাই
লখনউর কাছে হারলো চেন্নাই
পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফার ভোট শেষেই বিজয় মিছিল
পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফার ভোট শেষেই বিজয় মিছিল
সর্বাধিক পঠিত
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া