X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিসমিল্লাহ গ্রুপের এমডিসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে রেড এলার্ট জারির নির্দেশ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৬:৩৭আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৬:৪০

বিসমিল্লাহ গ্রুপের এমডিসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে রেড এলার্ট জারির নির্দেশ

অর্থপাচার মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে পলাতক থাকা বিসমিল্লাহ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরীসহ সাত আসামিকে গ্রেফতার করতে রেড এলার্ট জারির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আদালতের আদেশের অগ্রগতির বিষয়ে আগামী ৫ এপ্রিল পুলিশ প্রধান (আইজিপি) এবং  র‍্যাবের মহাপরিচালককে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরী ছাড়াও অপর ছয় আসামি হলেন— তার স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান নওরীন হাবিব, গ্রুপের পরিচালক ও খাজা সোলেমানের বাবা সফিকুল আনোয়ার চৌধুরী, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আকবর আজিজ মুতাক্কি, মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আবুল হোসেন চৌধুরী, ব্যবস্থাপক রিয়াজউদ্দিন আহম্মেদ এবং নেটওয়ার্ক ফ্রেইট সিস্টেম লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন।

সংশ্লিষ্ট মামলায় অন্য এক আসামির জামিন আবেদনের শুনানিকালে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী হাসান এমএস আজিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না, মাহজাবিন রাব্বানী দীপা, কাজী শামসুন নাহার কনা ও ঈশিতা পারভীন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এসএম শাহজাহান।

এর আগে ২০১৮ সালে ১০ সেপ্টেম্বর অর্থপাচার মামলায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরী, তার স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান নওরীন হাবিবসহ ৯ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত -১০। এই কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের ৩০ কোটি ৬৭ লাখ ২৩ হাজার ৩৭৩ টাকা অর্থদণ্ড দেয় আদালত।

বিসমিল্লাহ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরী ও তার স্ত্রী ছাড়াও দণ্ডিত অপর আসামিরা হলেন— বিসমিল্লাহ গ্রুপের পরিচালক ও খাজা সোলেমানের বাবা সফিকুল আনোয়ার চৌধুরী, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আকবর আজি, মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আবুল হোসেন চৌধুরী, ব্যবস্থাপক রিয়াজউদ্দিন আহম্মেদ, নেটওয়ার্ক ফ্রেইট সিস্টেম লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন এবং জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা মোস্তাক আহমদ খান এবং এস এম শোয়েব-উল-কবীর।

এরপর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা মোস্তাক আহমদ খান এবং এস এম শোয়েব-উল-কবীর আদালতে আত্মসমর্পন করেন। পরে তারা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। সেই জামিন আবেদনের শুনানিকালে আদালত দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করতে রেড এলার্ট জারির নির্দেশ দিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করে। পরে তদন্ত শেষে ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিলে আদালত আমলে নিয়ে ২০১৬ সালে বিচার শুরু করেন। তবে বিচারের সময় সব আসামি পলাতক ছিলেন।

/বিআই/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
১৬ বছর ধরে পুনরুদ্ধার করা ‘নেপোলিয়ন’ দেখাবে কান
কান উৎসব ২০২৪১৬ বছর ধরে পুনরুদ্ধার করা ‘নেপোলিয়ন’ দেখাবে কান
পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস, সিপিআই-এম ইন্ডিয়া জোট নয়, বিজেপির এজেন্ট: মমতা
পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস, সিপিআই-এম ইন্ডিয়া জোট নয়, বিজেপির এজেন্ট: মমতা
‘আমাদের জন্য যারা বেইমান, ভারতের তারা বন্ধু’
‘আমাদের জন্য যারা বেইমান, ভারতের তারা বন্ধু’
টানেলে অপারেশনাল কাজে গেলে টোল দিতে হবে না জরুরি যানবাহনকে
টানেলে অপারেশনাল কাজে গেলে টোল দিতে হবে না জরুরি যানবাহনকে
সর্বাধিক পঠিত
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী