X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

বইমেলার শেষবেলায় উপচে পড়া ভিড়

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২০:২২আপডেট : ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২০:৫৪

বইমেলায় শেষ দিনে পাঠকের ভিড়

শেষদিনের শেষবেলায় উপনীত অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২০। সব মানুষের কাছে বইমেলা হিসেবে পরিচিত এই সাংস্কৃতিক তীর্থের পর্দা নামবে আর কিছু সময় পর। শেষবেলায় তাই মেলা মাঠে ঢল নেমেছে পাঠকের।

মাসব্যাপী চলা বইমেলার শেষ দিনের দুপুর পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গণ ছিল শান্ত। পাঠক ছিলেন, তবে ভিড় ছিল কম। বেলা গড়িয়ে বিকাল হতে না হতেই রাজধানী ও আশেপাশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জনস্রোত শুরু হয় বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পথে। দোয়েল চত্বর কিংবা টিএসসি দুই পাশ থেকেই বাংলা একাডেমি পর্যন্ত রাস্তায় দেখা যায় মানুষের ঢল। এসময় মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতেও লাইনে দাঁড়াতে হয় পাঠক-দর্শনার্থীদের।

মেলা ঘুরে দেখা যায়, দর্শনার্থী পাঠকদের মধ্যে উৎসবমুখর আমেজ। যারা ঘুরতে এসেছেন, তাদের কেউ কেউ শেষবারের মতো পছন্দের জায়গায় ছবি তুলছেন, আবার কেউ কেউ বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় মেতে উঠেছেন। আর বইপ্রেমীরা ঘুরছেন মেলার স্টলে স্টলে। মেলায় ঘোরাঘুরি করছেন লেখকরাও, কেউ কেউ বসেছেন তার বইয়ের প্রকাশকের স্টলে, কেউ জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন বন্ধুসহ চেনা-অচেনা পাঠকদের সঙ্গে। বিশিষ্ট লেখকরা আজও সই শিকারিদের আহ্বানে সাড়া দিচ্ছেন মন খুলে। তরুণ লেখকদের অনেকে লিটল ম্যাগ চত্বরসহ বাংলা একাডেমির বিভিন্নপ্রান্তে বসে চুটিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন। অনেকে ভাব বিনিময় করছেন পাঠকদের সঙ্গে।

বইমেলার শেষ দিনে যখন গোধূলি নামে, বাড়ে পাঠকের আনাগোনা

এছাড়া মেলায় দেখা গেছে লম্বা ফর্দ নিয়ে পছন্দের বই কিনতে স্টলে স্টলে যাচ্ছেন বইপ্রেমীরা। কারও হাতে, কারও ঝোলায় ঝুলছে পছন্দের বই, ওজনকে অগ্রাহ্য করেই সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন অনেকে প্রিয় আরও কিছু বই খুঁজে কিনে নেওয়ার আশায়।

মেলায় আগত হোসেন সাগর নামের এক দর্শনার্থী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সারা মাসই বইমেলার প্রতি আমাদের ভালোবাসা থাকে। কিন্তু, শেষ বেলায় তার বহিঃপ্রকাশ আরও বেশি দেখা যায়। পাঠক হিসেবে কিছু একটা হারানোর বেদনাও অনুভব করি। সেই অনুভবই আকর্ষণ হিসেবে পরের মেলায় টেনে আনে আমাদের। মনে হয় সব বইপ্রেমীর মধ্যেই এই টানটা থাকে। নাহলে বইয়ের আড়তে প্রতিবছর এত মানুষের আনাগোনা হবে কেন? বছর ঘুরে আবারও বইমেলা আসবে সে প্রত্যাশাতেই আছি।

মেলায় প্রকাশকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শেষবেলায় বিক্রি ভালোই হচ্ছে। মোটামুটি যারাই মেলায় আছেন, সবাই বই কিনছেন।

পাঠক আসছেন শেষদিনের মেলায়

আর, তথ্যকেন্দ্রের ঘোষণা অনুযায়ী, শেষদিনেও মেলায় এসেছে বেশকিছু বই। মোড়ক উন্মোচনের অনুষ্ঠানও হয়েছে বেশ কয়েকটির।

এদিকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান। আর রাত ৮টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুরু হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এর মধ্য দিয়েই বিদায় নেবে এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলা।

/এইচএন/টিএন/এমএমজে/
সম্পর্কিত
বইমেলা শেষ, কবে স্বরূপে ফিরবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান?
ব্রহ্মপুত্রপাড়ে পণ্ডিত বইমেলা, থাকবেন ক্ষুদ্র জাতি-গোষ্ঠীর সাহিত্যিক ও শিল্পী
সাঙ্গ হলো প্রাণের মেলা
সর্বশেষ খবর
ধারণার চেয়ে কম সেনা প্রয়োজন ইউক্রেনের: সিরস্কি
ধারণার চেয়ে কম সেনা প্রয়োজন ইউক্রেনের: সিরস্কি
ফিরেই ফর্টিসকে বিধ্বস্ত করলো মোহামেডান
ফিরেই ফর্টিসকে বিধ্বস্ত করলো মোহামেডান
লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে পদ্মা নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু
লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে পদ্মা নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু
রাশিয়ায় বন্ধ হলো জাতিসংঘের নজরদারি সংস্থার কার্যক্রম
রাশিয়ায় বন্ধ হলো জাতিসংঘের নজরদারি সংস্থার কার্যক্রম
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
‘ভারতের কঠোর অবস্থানের কারণেই পিটার হাস গা ঢাকা দিয়েছেন’
‘ভারতের কঠোর অবস্থানের কারণেই পিটার হাস গা ঢাকা দিয়েছেন’