ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বিএনপির সাবেক মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক সামছুল আলমের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। তিনি হলেন এ মামলার বাদী। মঙ্গলবার (৩ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ-৪ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পরবর্তী তারিখ আগামী ৭ এপ্রিল ধার্য করেন।
এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন ইশরাক। তার পক্ষে আইনজীবীরা সাক্ষীকে জেরা করেন। জেরা শেষে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়। আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে, গত ১৫ জানুয়ারি ইশরাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৫ মে সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ার জন্য দিন ধার্য ছিল। ওইদিন ইশরাক আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েশ অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। একইসঙ্গে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন। এরপর ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর ইশরাক আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৬ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (দুদকের উপপরিচালক) জাহাঙ্গীর হোসেন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর ইশরাক হোসেনের নিজের এবং তাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের সম্পদের বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেয় দুদক। একই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর দুদকের কনস্টেবল তালেব কমিশনের নোটিশটি জারি করতে তাদের বাসভবনে যান। কিন্তু ইশরাক হোসেন সেখানে উপস্থিত না থাকায় উপস্থিত চার সাক্ষীর সামনে বাসভবনের নিচ তলায় প্রবেশপথের বাম পাশের দেয়ালে স্কচটেপ দিয়ে ঝুলিয়ে নোটিশটি জারি করেন কনস্টেবল তালেব।
দুদকের দেওয়া সাত কার্যদিবসের মধ্যে ইশরাক হোসেন সম্পদের হিসাব নির্ধারিত ফরমে দাখিল করেননি। ওই ঘটনায় ২০১০ সালের ২৯ আগস্ট রাজধানীর রমনা থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক সামছুল আলম।
