ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বলেছে, শুধু জামিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে এর পরিধি আরও বাড়ানো প্রয়োজন। বুধবার (২০ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানানো হয়।
বুধবার (২০ মে) সকাল সাড়ে ১১ টায় অনলাইনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নারী ও শিশু অধিকার বিষয়ক থিমেটিক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম।
সভায় করোনাকালীন নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এসকল সহিংসতা বন্ধে সকলের সমন্বিত প্রয়াস দরকার বলে মনে করেন বক্তারা। শিশুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, খেলাধুলা বন্ধ, তাদেরকে ঘরেই সময় অতিবাহিত করতে হচ্ছে বিধায় অভিভাবকদের শিশুর প্রতি সহনশীল আচরণ ও নৈতিক মূল্যবোধের শিক্ষা দিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। তাছাড়া শিশুরা যেন অনলাইন প্লাটফর্মে নিরাপদ থাকে সেবিষয়েও অভিভাবকদেরকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে ।
নারী ও শিশুর মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্তদেরকে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও বিভিন্ন সহযোগিতা কার্যক্রমে উপকারভোগী হিসেবে বাদ দেওয়ার বিষয়ে সকলে সহমত পোষণ করে বাল্যবিবাহ বন্ধে সকল অংশীজনের সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে আরও কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি নির্দেশনার জন্য সরকারকে পরামর্শ দিতে কমিটির সদস্যরা কমিশনকে অনুরোধ জানিয়েছেন। পাশাপাশি, সহিংসতা প্রতিরোধে জয় অ্যাপসের কার্যকর ব্যবহার বৃদ্ধি, ভিকটিমদের আইনি সহায়তা প্রদান, ব্যাপক সচেতনতা তৈরির জন্য টিভিসি, কমিউনিটি রেডিও, ক্ষুদেবার্তা, লিফলেট ইত্যাদির মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
থিমেটিক কমিটির সভায় অংশগ্রহণ করেন কমিশনের সদস্য জেসমিন আরা বেগম, ড. নমিতা হালদার, এনডিসি, মিজানুর রহমান খান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আবুল হোসেন, নিজেরা করির সমন্বয়ক খুশি কবির, বিএনপিএস এর রোকেয়া কবির, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের শাহীন আনাম, মহিলা পরিষদের মালেকা বানু, অ্যাকশন এইডের ফারাহ কবির, ইউনিসেফের শাবনাজ জাহেরিন, ইউএনডিপির চিফ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজর শর্মিলা রাসুল, কন্যা শিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের নাসিমা আক্তার জলি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাসলিমা ইয়াসমিনসহ অনেকে।