X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশির খুনিদের শাস্তি দিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার দাবি

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৯ মে ২০২০, ২৩:০১আপডেট : ২৯ মে ২০২০, ২৩:০৩

লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশির খুনিদের শাস্তি দিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার দাবি লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িত মানবপাচারকারী চক্রকে দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে অভিবাসন খাতের বিভিন্ন সংগঠন নিয়ে গঠিত জোট সিভিল সোসাইটি ফর গ্লোবাল কমিটমেন্টস অন মাইগ্রেশন (সিজিসিএম)। আইনের আওতায় আনার ব্যাপারে প্রয়োজনে বাংলোদেশকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতা নেওয়ার দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।

শুক্রবার (২৯ মে) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানায় তারা।

যৌথ বিবৃতি দানকারী সিজিসিএম-এর সদস্যসমূহ হলো ব্র্যাক, বিএনএসকে, আইআইডি, ওকুপ, ওয়ারবী, বিএনপিএস, আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), বিলস, বিএনডব্লিউএলএ, বোমসা, এসিডি, আওয়াজ ফাউন্ডেশন, ফিল্ম ফর পিস, কর্মজীবি নারী, ডেভকম, ইমা, মাইগ্রেশন নিউজ এবং এসএনএ।

বিবৃতিতে বলা হয়, ২৬ জন নিহতের ঘটনায় বেঁচে যাওয়া একজন বাংলাদেশি ঘটনার যে বিবরণ দিয়েছেন এবং গণমাধ্যমের খবরেও সেসব কথা উঠে এসেছে। ৩৭ জন বাংলাদেশিসহ ৪০-৪২ জন মানুষকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য জড়ো করেছিল মানবপাচারকারী চক্র। এই চক্রকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি এর সঙ্গে জড়িতদের সবাইকে খুঁজে বের করতে বিভিন্ন দেশকে প্রয়োজনে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। লিবিয়া থেকে বিভিন্ন সময় ফিরে আসা বাংলাদেশিরা জিম্মি ও মুক্তিপণ আদায়সহ নিপীড়নের নানা ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিবেদন ও গণমাধ্যমেও এসব কথা উঠে এসেছে। এভাবে যেন আর কোন অভিবাসী সেখানে প্রাণ না হারায় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থাকে সেই দায়িত্ব নিতে হবে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে জোর ভূমিকা পালন করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে লিবিয়ায় কর্মী পাঠানো গত পাঁচ বছর ধরেই বন্ধ। তারপরেও কী করে এতো লোক বাংলাদেশ থেকে লিবিয়া যাচ্ছে সেই ঘটনার তদন্ত করা উচিত। মূলত বাংলাদেশের সিলেট, সুনামগঞ্জ, নোয়াখালী, মাদারীপুর, শরীয়তপুরসহ সুনির্দিষ্ট কিছু এলাকার লোকজন এভাবে ইউরোপে যায়। কাজেই এই এলাকার স্থানীয় দালাল ও মানবপাচার চক্রকে চিহিৃত করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে বাংলাদেশকেই। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানব-পাচারকারী যে চক্রগুলো রয়েছে লিবিয়া বা অন্য দেশে তাদের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হতে হবে আন্তর্জাতিকভাবে। বাংলাদেশ যেহেতু 'পালেরমো প্রোটোকল' অনুসমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাজেই সেই সুযোগ রয়েই গেছে। মনে রাখতে হবে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে এমন প্রাণহানির ঘটনা চলতেই থাকবে। স্বজন হারাতে হবে অনেক পরিবারকে। সংকটে পড়বে বাংলাদেশের ভাবমুর্তি। কাজেই এই মরণযাত্রা বন্ধ করতেই হবে। এ ব্যাপারে সচেতনতা তৈরিসহ অন্য সব কাজে সরকারের সঙ্গে থাকতে প্রস্তুত আমরা।

 

/এসও/এফএএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
নির্দেশের পরও হল ত্যাগ করছেন না চুয়েট শিক্ষার্থীরা, বাসে আগুন
নির্দেশের পরও হল ত্যাগ করছেন না চুয়েট শিক্ষার্থীরা, বাসে আগুন
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ
এক কোরাল ৩৩ হাজার টাকায় বিক্রি
এক কোরাল ৩৩ হাজার টাকায় বিক্রি
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা