X
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
৫ বৈশাখ ১৪৩১

‘অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে সন্তুষ্ট ৯১ শতাংশ অভিভাবক’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৫ জুন ২০২০, ০১:০৮আপডেট : ০৫ জুন ২০২০, ০১:০৮

‘অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে সন্তুষ্ট ৯১ শতাংশ অভিভাবক’ করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে গত ১৮ মার্চ থেকে বাংলাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এর ফলে দেশের ৪ কোটি ২০ লাখ শিশু স্কুলে যেতে পারছে না। এই পরিস্থিতিতে ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকাসহ দেশের কিছু সংখ্যক স্কুল বিভিন্ন ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনলাইন ক্লাস পরিচালনা শুরু করে। এসব স্কুলের অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে ৯১ শতাংশ অভিভাবক সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে একটি জরিপে জানা গেছে। ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকা, অনলাইন শিক্ষা নিয়ে অভিভাবকদের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে ‘প্যারেন্টস অনলাইন প্রোগ্রাম সার্ভে রিপোর্ট’ শীর্ষক জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার (৪ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে নতুন একটি ধারণা। তাই স্কুলগুলোকেও এক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। বর্তমানে শিক্ষকরা অংশগ্রহণমূলক ক্লাস পরিচালনার জন্য নতুন উপায় খুঁজে বের করছেন। তবুও অনলাইনে শিক্ষা বিষয়ে নিয়ে অভিভাবকদের দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে অনেকের মাঝে এক ধরনের অনিশ্চয়তা রয়েছে। এ নিয়ে পরিষ্কার ধারণা দেওয়ার লক্ষ্যে সম্প্রতি এই জরিপ পরিচালনা করা হয়। যেখানে অনলাইন শিক্ষা নিয়ে অভিভাবকদের ২২টি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়।  
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, অভিভাবকদের ৯১ শতাংশ অনলাইন লার্নিং নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। কেননা এই বৈশ্বিক মহামারির সময় যেখানে বিশ্বের অনেক শিশুই শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে আছে, তা সত্ত্বেও তাদের সন্তানরা অনলাইন লার্নিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে পারছে। বেশিরভাগ অভিভাবকই (৭৬ শতাংশ) মনে করেন, তাদের সন্তানরা অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম উপভোগ করেছে এবং অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের এক্ষেত্রে উৎসাহিত করছেন।  
ডিপিএস এসটিএস স্কুল জানায়, জরিপে উত্তরদাতা অভিভাবকদের ৮৫ শতাংশ মনে করেন, স্কুলটির অনলাইন শিক্ষা শিক্ষার্থীদের মাঝে কমিউনিটি সম্পর্কে ধারণা সৃষ্টিতে সক্ষম হয়েছে।
ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকার অধ্যক্ষ মধু ওয়াল বলেন,  স্কুল পুনরায় চালু হওয়ার পর পুরোদমে ক্লাস শুরু হলেও শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা ভবিষ্যতেও অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখবো। ক্লাসে পাঠদান কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর ডিজিটাল লার্নিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। যেন আমাদের শিক্ষার্থীদের স্কুল শেষ হওয়ার পর শিক্ষার উদ্দেশে বিভিন্ন জায়গায় না যেতে হয়।

 
/এসও/এমআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জয়পুরহাটে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও চট্টগ্রামে কাস্টমসে দুদকের অভিযান
জয়পুরহাটে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও চট্টগ্রামে কাস্টমসে দুদকের অভিযান
বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনা যেসব খেলায় সহযোগিতা প্রত্যাশী
বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনা যেসব খেলায় সহযোগিতা প্রত্যাশী
জনসচেতনতাই টেকসই উন্নয়নের পথ সুগম করতে পারে: স্পিকার
জনসচেতনতাই টেকসই উন্নয়নের পথ সুগম করতে পারে: স্পিকার
ধ্রুব এষ হাসপাতালে
ধ্রুব এষ হাসপাতালে
সর্বাধিক পঠিত
এএসপি বললেন ‌‘মদ নয়, রাতের খাবার খেতে গিয়েছিলাম’
রেস্তোরাঁয় ‘মদ না পেয়ে’ হামলার অভিযোগএএসপি বললেন ‌‘মদ নয়, রাতের খাবার খেতে গিয়েছিলাম’
মেট্রোরেল চলাচলে আসতে পারে নতুন সূচি
মেট্রোরেল চলাচলে আসতে পারে নতুন সূচি
‘আমি এএসপির বউ, মদ না দিলে রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেবো’ বলে হামলা, আহত ৫
‘আমি এএসপির বউ, মদ না দিলে রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেবো’ বলে হামলা, আহত ৫
রাজধানীকে ঝুঁকিমুক্ত করতে নতুন উদ্যোগ রাজউকের
রাজধানীকে ঝুঁকিমুক্ত করতে নতুন উদ্যোগ রাজউকের
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট