দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের উচ্চতর বেতন স্কেল দেওয়ার ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি। এছাড়া স্কেল প্রদানে আবেদনের সময় বাড়ানোসহ ১২ দফা দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে পৃথকভাবে এই দাবি পেশ করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে জাতীয় বেতন স্কেল ঘোষণার পর এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের টাইম স্কেল (উচ্চতর) বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৮ সালের এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষকতার ১০ বছর পূর্তি এবং ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড দেওয়ার কথা ছিল। তবে এ নিয়ে জটিলতা থাকায় গত মার্চ মাসে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট করে জানতে চেয়ে চিঠি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ৩১ মে ওই চিঠির জবাব দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়।
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম রনির সই করা আবেদনে উল্লেখ করা দাবিগুলো তুলে ধরা হলো:
১. উচ্চতর স্কেল প্রদান বিষয়ে মাউশি থেকে সুস্পষ্ট কোনও নির্দেশনা নেই। শিক্ষক-কর্মচরীদের যোগদান থেকে হবে, নাকি বিএড থেকে অভিজ্ঞতা ধরা হবে— তা স্পষ্ট নয়। তবে শিক্ষকদের দাবি যোগদান থেকে উচ্চতর স্কেল দিতে হবে।
২. উচ্চতর স্কেল দিতে সময় নির্দিষ্ট না করে এটি চলমান রাখতে হবে। কারণ, এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির রেজুলেশন দরকার হয়।
৩. জুনিয়র স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের হাই স্কুলের ক্ষেত্রে গ্রেড দিতে জটিলতা দূর করতে হবে।
৪. বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালে এনটিআরসিএ সনদ না অর্জন করে দীর্ঘ ১০-১৫ বছর চাকরি করে আসছেন, এখন তাদের বয়স ৩৫ বছর উত্তীর্ণ। তাদের এমপিওভুক্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. শিক্ষক-কর্মচরীদের অভিজ্ঞতা এমপিওভুক্তি থেকে হিসাব না করে চাকরিতে যোগদান থেকে হিসাব করতে হবে। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
৬. দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বৈধ সনদধারীদের এমপিভুক্ত করতে হবে।
৭. প্রথম টাইম স্কেল দেওয়ার পর বিএড স্কেল দিতে হবে।
৮. ঈদুল আজহার আগেই ২৫ শতাংশের পরিবর্তে সরকারি নিয়মে পূর্ণাঙ্গ ঈদ বোনাস দিতে হবে।
৯. কলেজ শিক্ষকদের অনুপাত প্রথা বাতিল করে পদোন্নতির ব্যবস্থা করতে হবে।
১০. অনার্স-মাস্টার্স কলেজ শিক্ষকদের অবিলম্বে এমপিওভুক্ত করতে হবে।
১১. ‘এমপিও নীতিমালা-২০১৮’ অবিলম্বে সংশোধন করে শিক্ষক হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
১২. মুজিববর্ষেই শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করে মুজিববর্ষকে আলোকিত করতে হবে।