লকডাউন রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে চাল, ডাল, আটা, তেল, ডিম, দুধ ও মাংস। এছাড়া প্রতিদিনের কাঁচাবাজার তো রয়েছেই। এর পাশাপাশি চাহিদার তালিকার শীর্ষে আছে চিপস ও ফ্রোজেন খাবারে রয়েছে। কিন্তু সেটি সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ভ্রামমান বাজারের কর্মীরা। এলাকা থেকে মানুষজন বের হতে না পারায় এমন চাহিদার সৃষ্টি হয়েছে বলে তারা মনে করছেন।
শনিবার (২০ জুন) সকালে লকডাউন এলাকায় দেখা যায়, সেখানে দুটি সুপার শপের ভ্রামমাণ বাজার, তিনটি অনলাইন বাজারসহ স্থানীয় কিছু ভ্যান পণ্য সরবরাহ করছে। প্রতিদিন সকাল ৮টার পর থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বাজারগুলো ঐ এলাকায় পণ্য সরবরাহ থাকে। লকডাউনের শুরুর প্রথম ৩দিন মানুষের পণ্য কেনার চাহিদা অস্বাভাবিক থাকলেও পরে তা কমে গিয়েছে। মানুষ বর্তমানে নিয়মিত স্বাভাবিক বাজারই করছে বলে জানা গেছে।
লকডাউন এলাকায় দ্বায়িত্বরত সুপার শপ মীনা বাজারের ক্যাশিয়ার জয় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা অনেক আইটেমই নিয়ে আসি। এর মধ্যে চাল, ডাল, সয়াবিন তেল, বিভিন্ন ধরনের মাছ ও ফলমূলটাই বেশি চলে। প্রথমদিকে মানুষ বেশি পরিমানে কিনলেও বর্তমানে যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকুই কিনছে। তারা বুঝে গেছে বাজারগুলো প্রতিদিনই আসে।’
সুপার শপ স্বপ্নের ডিভিশনাল সেলস ম্যানেজার রঞ্জন বলেন, ‘ডেইলি নিডস যেগুলো- আটা, ময়দা, তেল, ছোট মাছ, কুমড়, লাউ এবং গরুর মাংস বেশি চলছে। প্রয়োজনের বেশি কেউ কিনছে না। যার ফ্যামেলিতে লোক বেশি, সে হয়তো সর্বোচ্চ ২ কেজি গরুর মাংস কিনছে এমন’।
মিল্ক ভিটার ম্যানেজার নাজিমুদ্দিন বলেন, ‘এই এলাকায় প্রতিদিন দুধের চাহিদা আছে ১৬০ থেকে ১৭০ কেজি। টক ও মিষ্টি দই এবং মিষ্টিসহ আমাদের অন্যান্য পণ্যের চাহিদা রয়েছে।’
সেতারা ফার্মের ডেলিভারি ইনচার্জ আরিফুল ইসলাম জানান, ‘তারা মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম সরবরাহ করে থাকেন। এলাকায় মহিষের মাংস, দুধ ও ডিমের চাহিদা বেশি। মানুষ স্বাভাবিক মাত্রতেই এগুলো কিনছে। অস্বাভাবিক মাত্রায় কিনতে দেখিনি।’
এলাকটিতে আরও পণ্য সরবরাহ করে সুপার শপ আগোরা, অনলাইন ভিত্তিক বাজার চালডাল ডটকম, সবজি বাজার ও একশপ। এছাড়াও স্থানীয় কিছু ভ্যান সেখানে সবজি বিক্রি করে থাকে।